হাইলাইটস
- বলিউডের শাহেনশাহর প্রসঙ্গ টেনে আনলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
- প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সঙ্গে অমিতাভের সম্পর্ক ছিল দারুণ
- উত্তর প্রদেশের একটি সভায় শুক্রবার একথাই বলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
নিউ দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Modi) আক্রমণ করতে গিয়ে বলিউডের শাহেনশাহর প্রসঙ্গ টেনে আনলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। কংগ্রেসের এই সাধারণ সম্পাদকের বাবা প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সঙ্গে অমিতাভের সম্পর্ক কেমন ছিল তা কমবেশি সকলেই জানেন। রাজীবের অন্যতম প্রিয় বন্ধু ছিলেন অমিতাভ। তাঁর প্রসঙ্গ টেনে নেই নির্বাচনের একেবারে শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে বড় অভিনেতা। তাঁর চেয়ে আপনারা অমিতাভকে ভোট দিলেই পারতেন। দুজনে কেউই আপনাদের জন্য কিছু করতেন না। উত্তর প্রদেশের একটি সভায় শুক্রবার একথাই বলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
বাপুকে ‘অপমান করায়' সাধ্বীকে কোনও দিনে ক্ষমা করবেন না মোদী
তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অভিনেতা আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী। আপনারা অমিতাভ বচ্চনকে ভোট দিলেও পারতেন। কেউ আপনাদের জন্য কিছু করতেন না। এদিন উত্তর প্রদেশ মির্জাপুর বলে একটি জায়গায় সভা করেন প্রিয়াঙ্কা। এই এলাকা থেকেই কয়েক দশক আগে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন অমিতাভ।
দীর্ঘদিন ধরেই বচ্চন পরিবারের সঙ্গে গান্ধী নেহেরু পরিবারের সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। আর সেই সূত্র ধরেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন অমিতাভ। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর দেশে যে সাধারণ নির্বাচন হয় তাতে কংগ্রেসের প্রার্থী হন তিনি। গোটা দেশেই দারুণ ফল করে কংগ্রেস। বিরোধীদের কার্যত সাফ করে দিল্লির মসনদে আসীন হন রাজীব।
পাঁচ বছরে প্রথম সাংবাদিক সম্মলেন করলেন প্রধানমন্ত্রী, পড়ুন তাঁর সেরা মন্তব্য গুলি
বোফোর্স মামলা সামনে আসার পর দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। বোফর্স কাণ্ডের নাম জড়ানোর পর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন অমিতাভ। নয়ের দশকের একেবারে গোড়ার দিকে রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর দুই পরিবারের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যায়। রাজনৈতিকভাবে দুটি আলাদা পথ বেছে নেয় দুই পরিবার। সমাজবাদী পার্টির হয়ে সাংসদ হন জয়া।
পাশাপাশি অমিতাভের বিজেপি সংযোগ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এরই মাঝে নির্বাচনের অন্তিম দফার আগে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন।