মমতার ক্ষোভ প্রসঙ্গে রবিবার রাজ্যে এসে প্রতিক্রিয়া দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
হাইলাইটস
- রাজ্যের চার আইপিএসকে পথ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন
- কমিশনের দাবি আইন মেনে নিজের অধিকার প্রয়োগ করে আইপিএস বদল হয়েছে
- রাজ্যে এসে রবিবার প্রতিক্রিয়া দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
নিউ দিল্লি: রাজ্যের চার আইপিএসকে পথ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha ELections 2019) মুখে এমন একটা সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Bannerjee)। কড়া চিঠিতে কমিশনকে তিনি লিখেছিলেন এই সিদ্ধান্ত কোনও একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে চরিতার্থ করতে এবং কেন্দ্রের শাসক দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে নেওয়া হয়েছে। এবার তাঁর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিল নির্বাচন কমিশন। ৬ এপ্রিল ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার চন্দ্রভূষণ কুমার পাল্টা চিঠিতে জানান, কমিশন আইন মেনে নিজের অধিকার প্রয়োগ করে আইপিএসদের বদল করেছে। বিরোধীদের অভিযোগ পেয়ে কমিশন নিজে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু তাই নয় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে তথ্যগত ত্রুটি আছে বলেও মনে করে কমিশন।
ভোট লুঠের পরিকল্পনা ভেস্তে গেল বলেই কি রেগে যাচ্ছেন মমতাঃ দিলীপ
ডেপুটি কমিশনার (DEC) আরও লিখেছেন, নির্বাচনী আচরণ বিধি (Model Code Of Conduct) জারি রয়েছে এমন সময়ে কমিশন কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সেটিকে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে চরিতার্থ করতে এবং কেন্দ্রের শাসক দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে নেওয়া হয়েছে বলে ব্যাখ্যা করা দুর্ভাগ্যজনক।
গোলমালের সূত্রপাত শুক্রবার। কলকাতা পুলিশের কমিশনার অনুজ শর্মা সহ রাজ্য পুলিশের আরও তিন উচ্চমর্যাদাসম্পন্ন অফিসারকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। এই চার অফিসার রাজ্য সরকারের নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও দায়িত্বই গ্রহণ করতে পারবেন না। দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এডিজি ডক্টর রাজেশ কুমার হন কলকাতা পুলিশের নতুন কমিশনার। বিধাননগরের নতুন পুলিশ কমিশনার হলেন নটরাজন রমেশ বাবু। বিধাননগরের এয়ারপোর্ট শাখার ডিসি অবন্নু রবীন্দ্রনাথ হন বীরভূমের সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ। ডায়মন্ড হারবারের সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ হন শ্রীহরি পান্ডে।
মমতার ক্ষোভ প্রসঙ্গে রবিবার রাজ্যে এসে প্রতিক্রিয়া দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে মুখ্যমন্ত্রী আমাকে আর কমিশনের উপর রেগে যাচ্ছেন। আপনাদের ভিড় প্রমাণ করছে এ রাজ্য দিদির হাত থেকে মুক্তি চাইছে। পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেলে কী অবস্থা হয় সেটা দিদিকে দেখে বোঝা যাচ্ছে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেন মমতা। তিনি বলেন, দুজন অফিসারকে সরিয়ে ভোট জিততে পারববেন না। সব অফিসারই আমাদের অফিসার। অত সস্তা না।