This Article is From Apr 29, 2019

উমা ভারতীর সঙ্গে বৈঠকের পর অঝোরে কান্না সাধ্বী প্রজ্ঞা'র, জল এগিয়ে দিলেন উমা

উমা ভারতী শনিবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, "প্রজ্ঞা তো মহান সন্ন্যাসিনী। আমি তো মূর্খ আর তুচ্ছ প্রাণী। তাই প্রজ্ঞাকেই দাঁড় করিয়েছে দল"।

উমা ভারতীর সঙ্গে বৈঠকের পর অঝোরে কান্না সাধ্বী প্রজ্ঞা'র, জল এগিয়ে দিলেন উমা

উমা ভারতী সান্ত্বনা দেন ক্রন্দনরত সাধ্বী প্রজ্ঞাকে।

হাইলাইটস

  • সাধ্বী প্রজ্ঞা সোমবার দেখা করেন উমা ভারতীর সঙ্গে
  • বহু ক্যামেরার সামনে আন্তরিক আলিঙ্গন করেন গেরুয়া শিবিরের দুই নেত্রী
  • ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাধ্বী
ভোপাল:

ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের (Bhopal) বিজেপি প্রার্থী ও মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডের অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর (Sadhvi Pragya Thakur) সোমবার তাঁর নির্বাচনী প্রচারে বিজেপির বর্ষীয়ান নেত্রী উমা ভারতীর (Uma Bharati) সঙ্গে বৈঠকের পর কাঁদতে আরম্ভ করেন। কয়েকশো টিভি ক্যামেরার সামনে এই দুই গেরুয়া শিবিরের রাজনীতিবিদ একে অপরকে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে আলিঙ্গন করেন তারপর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha election) লড়াই না করলেও, ভোপাল থেকে অতীতে তিনি জয়ী হয়েছেন। তিনি সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন সাধ্বী প্রজ্ঞাকে। যিনি তখন নিজের এসইউভি'র ভিতর বসে অঝোরে কাঁদছিলেন। তাঁদের দুজনের মধ্যে বৈরিতা তৈরি হয়েছে, এমন এক জল্পনা যখন চারপাশে চলছে, তেমন সময়েই সোমবার সকালে ভোপালে নামার পর উমা ভারতীর সঙ্গে দেখা করতে যান সাধ্বী প্রজ্ঞা। বৈঠক শেষের পর সাধ্বী প্রজ্ঞা নিজের এসইউভি'তে করে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ই কান্নায় ভেঙে পড়েন। 

বারাণসী থেকে মোদীর বিরুদ্ধে সপা'র প্রার্থী বরখাস্ত হওয়া সেনা তেজবাহাদুর

উমা ভারতী জল এগিয়ে দেন সাধ্বীকে। তারপর দেখা যায়, তিনি সাধ্বীকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিচ্ছেন।

সাংবাদিকরা উমা ভারতীকে জিজ্ঞাসা করেন যে, তিনি সাধ্বী প্রজ্ঞার সঙ্গে ঠিক কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তার উত্তরে উমা ভারতী বললেন, "আমি ভোপালের প্রাক্তন সাংসদ। আমি খুব খুশি যে, সাধ্বী এবারে ভোপাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়াই করবে। এখানে কোনও রাগ বা অভিমানের ব্যাপারই নেই। সত্যি বলতে, আমার জীবনের অন্যতম সেরা দিন আজ। একটা কথা এখন থেকেই পরিষ্কার। বিজেপি ভোপালে নিশ্চিতভাবেই জিতবে এবারে"।

প্রসঙ্গত, জল্পনার আগুনে আরও ঘি পড়ে, গত শনিবার ভোপাল থেকে সাধ্বী প্রজ্ঞার প্রার্থী হওয়া বিষয়ে করা উমা ভারতীর একটি মন্তব্যের জন্য। তিনি ওইদিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, "প্রজ্ঞা তো মহান সন্ন্যাসিনী। আমি তো মূর্খ আর তুচ্ছ প্রাণী। তাই প্রজ্ঞাকেই দাঁড় করিয়েছে দল"।

হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন না অনুব্রত, থাকতে হবে কমিশনের নজরবন্দি হয়েই

মধ্যপ্রদেশ একটা দীর্ঘ সময় ধরেই ছিল কংগ্রেসের দুর্গ। ২০০৩ সালে তাঁর দল ভারতীয় জনতা পার্টি মধ্যপ্রদেশে জিতে ক্ষমতায় আসে বিধানসভায়। তারপর থেকেই মধ্যপ্রদেশ বিজেপির সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মুখ হয়ে উঠেছিলেন উমা ভারতী।

সোমবার উমা ভারতী শনিবারের বয়ানের থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে বলেন, "আমি মনে করি সাধ্বী প্রজ্ঞাই যোগ্যতম প্রার্থী এই কেন্দ্রের। ওঁর মতো মহান সন্ন্যাসিনী আর দেশপ্রেমিক আমাদের গর্ব। যে কষ্ট ও সহ্য করেছে, তা কোনও সাধারণ নারীর পক্ষে সহ্য করা কিছুতেই সম্ভব নয়"।

মধ্যপ্রদেশ এই উক্তিতে কতটা প্রভাবিত হল, তা জানা যাবে আগামী ২৩ মে।

.