এআইএমআইএমের (AIMIM) নেতা আসাদউদ্দীন ওয়াইসি বলেন, রমজানে ভোট নিয়ে কথা একটি ‘সম্পূর্ণ ভুলভাল ও অপ্রয়োজনীয়’ বিতর্ক
হাইলাইটস
- 'অপ্রয়োজনীয়, ভুলভাল বিতর্ক" বলছেন ওয়াইসি
- মুসলিম সম্প্রদায়কে ভোটের তাস করতে মানা ওয়াইসির
- রমজানে ভোটে মুসলিমদের কষ্ট হবে বলেছিলেন ফিরহাদ হাকিম
Hyderabad: রমজান মাসে ভোট রেখে (elections in the month of Ramzan) নির্বাচন কমিশন যে অবিবেচক কাজ করেছে তা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাও রমজানের মাসে নির্বাচন এবং মুসলিম ভোটে এর প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু হায়দরাবাদের সংসদ সদস্য আসাদউদ্দীন ওয়াইসি (Hyderabad parliamentarian Asaduddin Owaisi ) এই ধরনের মন্তব্যের প্রতি তীব্র অসমর্থন জানিয়েছেন। জাতীয় নির্বাচন ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এবং ২৩ মে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন দিন দুই আগেই জানিয়েছে। এআইএমআইএমের (AIMIM) নেতা আসাদউদ্দীন ওয়াইসি বলেন, এটি একটি ‘সম্পূর্ণ ভুলভাল ও অপ্রয়োজনীয়' বিতর্ক।
পুরী নিয়ে আলোচনা হলেও সম্ভবত বারাণসী থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন মোদী
সংসদ সদস্য ওয়াইসি বলেন, “আমি রাজনৈতিক দলগুলিকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করবো যে মুসলিম সম্প্রদায় ও রমজানকে আপনার নিজের রাজনৈতিক কোনও কারণে ব্যবহার করবেন না। মুসলমানরা ঠিক রমজানের মাসে উপবাস করবেন, তাঁরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করবেন, তাঁরা অফিসে যাবেন। এমনকি দরিদ্রতমদেরও মধ্যেও যারা দরিদ্র তাঁরাও উপবাস করবেন। আমার বিশ্লেষণ বলছে যে, এই রমজান মাসে ভোটের শতকরা হার বেশি হবে কারণ বড় একটি সম্প্রদায়ের মানুষ এই সময় জাগতিক সব দায়িত্ব থেকে মুক্ত থাকবেন।”
নয়া দিল্লিতে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়াতে পারেন প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর
"নির্বাচন কমিশনও জানিয়েছে যে, রমজান মাসের প্রতিদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে, প্রধান উৎসবের দিন এবং শুক্রবারগুলিকে নির্বাচনের দিন থেকে বাদ রাখা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Kolkata Mayor Firhad Hakim) নির্বাচনের দীর্ঘ সময়সূচী নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাত দফা ভোটের সমস্যা নিয়ে মন্তব্য করেন। রোববার তিনি বলেন, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশে রমজানের মাসে ভোটগ্রহণ খুব কঠিন। ববি হাকিম বলেন, “নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা এবং আমরা তাঁদের শ্রদ্ধা করি। আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না, কিন্তু বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও এই বাংলায় সাত-দফার নির্বাচন কঠিন। তাঁদের জন্য সবচেয়ে কঠিন যারা ওই সময় রোজা পালন করবেন।”