Read in English
This Article is From Apr 18, 2019

চোপড়ায় অশান্তি, সেলিমের গাড়ি ভাঙচুর, কাঁদানে গ্যাস

Lok Sabha Elections 2019: মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ, বুথ দখল করতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল, যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, সেই সমস্ত জায়গায় রিগিং করা হচ্ছে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

Highlights

  • প্রথম দফায় এ রাজ্যের ভোট পক্রিয়া শান্তিতেই শেষ হয়েছিল
  • দ্বিতীয় দফা ভোটের শুরু থেকেই বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে
  • সবথেকে বেশি গোলমালের খবর এসেছে দার্জিলিঙের চোপড়া থেকে
কলকাতা:

দ্বিতীয় দফার ভোটে অশান্তি ছড়াল রায়গঞ্জে Raiganj। আক্রান্ত হলেন রায়গঞ্জ (Raiganj) কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম (Md Selim)। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হল। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে এবার সিপিএমের মহম্মদ সেলিম (Md Selim), কংগ্রেস প্রার্থী  দীপা দাশমুন্সি, তৃণমূল প্রার্থী কানাইলাল আগরওয়াল। এদিন সকালে নিজের ভোট দিতে যাচ্ছিলেন সিপিএম প্র্রার্থী। সেই সময় রায়গঞ্জের (Raiganj) পাতাগারাগঞ্জ এলাকায় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। সংবাদসংস্থা আইএএনএসকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি (Md Selim) বলেন, “ইসলামপুরের পাতাগোরায় ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে জমায়েত হয়েছে দুষ্কৃতীরা, তাদের মদত দিচ্ছি তৃণমূল। তারা ভোটারদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি যখন সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করি, তারা আমার গাড়িতে হামলা চালায়”। মহম্মদ সেলিমের (Md Selim) আরও অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ।

লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটে নজরে কারা?

মহম্মদ সেলিমের (Md Selim) অভিযোগ, বুথ দখল করতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল, পাশাপাশি যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, সেই সমস্ত জায়গায় রিগিং করা হচ্ছে।  সিপিএম প্রার্থীর আরও অভিযোগ, বৈধ ভোটারদের বাধা দিচ্ছে রাজ্যের শাসদকদল।দ্বিতীয় দফায় রাজ্যের আসন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জে ভোটগ্রহণ।

Advertisement

দ্বিতীয় দফায় সবচেয়েবেশী গোলমালের খবর এসেছে চোপড়া থেকে। সকালেই ভোটারদের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়েন নিরাপত্তা কর্মীরা। ভোটারদের দাবি, সকালে তাঁরা যখন ভোট দিতে যাচ্ছিলেন সে সময় তৃণমূল আশ্রিত কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁদের পথ আটকায়। কয়েক জনকে মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সংবাদ মাধ্যমে তাঁদের দাবি পুলিশও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এই ঘটনার পর স্থানীয় নৈনিতাল বাস স্ট্যান্ডে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ভোটাররা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় বিজেপি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকে। উত্তেজনা  বাড়তে থাকায় র‍্যাফ নামিয়েছে প্রশাসন। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের আশ্বস্ত করে। কিন্তু তাতেও তাঁরা শান্ত হননি। এই ঘটনায় উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর ঘটনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে কমিশন।

লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটে নজরে কারা?

Advertisement

শুধু চোপড়া নয়, রায়গঞ্জ (Raiganj) লোকসভা কেন্দ্রের গোয়ালপোখরেও একই ধরনের গোলমাল হয়েছে। এখানেও ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাসমুন্সি। দার্জিলিংয়ের মালবাজার এলাকায় বিজেপির কার্যালয় ভাঙচুর চালানোর  অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এছাড়া আরও কয়েকটি জায়গায় ইভিএমে গোলমাল হয়েছে। কোথাও আবার ভিভিপ্যাট খারাপ হয়ে গিয়েছে বলে খবর। এই কারণে সকালের কোনও কোনও জায়গায় ভোট শুরু হতে দেরি হয়েছে।                                   

                                    

Advertisement