বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক যতই জটিল আর তিক্ত হোক না কেন, বিজেপি ছেড়ে যেতে চাননি অভিনেতা-রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহা (Actor-turned-politician Shatrughan Sinha)। তবে এবার ধৈর্য্যের সব বাঁধ ভেঙে অবশেষে বিজেপিতে পদত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শত্রুঘ্ন (Shatrughan Sinha)। কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধীর (Congress president Rahul Gandhi) সঙ্গে অভিনেতার একদিনের বৈঠক ও ছবি বিষয়টিতে শীলমোহর দিয়েছে।
বৈঠক শেষে এনডিটিভিকে শত্রুঘ্ন বলেন, “রাহুল গান্ধী খুব উত্সাহী ও ইতিবাচক। তিনি আমার প্রশংসা করে বলেন যে, আমি বিজেপির মধ্যে মর্যাদা বজায় রেখেই বিদ্রোহ ও সমালোচনা করেছি। রাহুল আমার চেয়ে ছোট, কিন্তু আজ তিনি দেশের একজন জনপ্রিয় নেতা। আমি নেহরু-গান্ধীর পরিবারের সমর্থক (supporter of the Nehru-Gandhi family)। আমি মনে করি তাঁরাই দেশের নির্মাতা।"
‘স্যার, রুমালটা আবার দেবেন প্লিজ' কেন আহত সাংবাদিকের এমন আর্জি রাহুলকে?
দলের নেতা শাক্তিসিংহ গোহিল টুইট করেছেন, আগামী ৬ এপ্রিল কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবেন শত্রুঘ্ন সিনহা। শত্রুঘ্ন সিনহা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi) ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সমালোচনা করেছেন তীব্র। এবং গত বছর থেকেই বারে বারে টুইটে বিজেপির নানা বিষয়ে নিন্দা ও সমালোচনা করেছেন এই অভিনেতা-রাজনীতিবিদ।
কিন্তু তিনি জোর দিয়ে বলেন যে তিনি কখনোই দলের বিরুদ্ধে কথা বলেনি। তিনি বলেন, “আমি ওয়ান ম্যান আর্মিকে দেখানোর চেষ্টা করেছি। এখন আয়নায় দু'জন মানুষ। তাঁরা গনতন্ত্রকে একনায়কতন্ত্রে পরিণত করেছে। এখন আমি বিজেপি ছেড়ে যাচ্ছি কারণ সেখানে একনায়কতন্ত্র চলছে। তাই, আমি জাতির জন্য দেশের জন্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।" শোনা যাচ্ছে যে, লালু যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সঙ্গে কংগ্রেসের সংঘর্ষের কারণে তাঁর এই যোগদান বিলম্বিত হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের বিরোধী জোটকে 'মদ'-এর সঙ্গে তুলনা করলেন নরেন্দ্র মোদী
এই সপ্তাহের শুরুতেই, শত্রুঘ্ন সিনহা কংগ্রেসের প্রধান রাহুল গান্ধীর প্রশংসা করে তাঁকে ‘পরিস্থিতির মাস্টার' বলে সম্ভাষিত করে তাঁর প্রস্তাবিত সর্বনিম্ন আয় গ্যারান্টি প্রকল্পকে (NYAY) একটি ‘মাস্টারস্ট্রোক' বলে অভিহিত করেছিলেন।