ডিসেম্বর মাসে তিনি বলেছিলেন লোকসভা নির্বাচনের পর কে প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। আর এপ্রিল মাসে এসে নিজের অবস্থান বদলে যোগগুরু রামদেব বললেন, ‘ভারতকে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত শক্ত করতে হবে'। পাশাপাশি জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর জয়পুর গ্রামীণ কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মঙ্গলবার। সে সময় তার পাশেই ছিলেন যোগগুরু। তিনি বলেন, ‘আর্থিক এবং রাজনৈতিকভাবে আগামী কুড়ি পঁচিশ বছরের মধ্যে ভারতকে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি হিসেবে গড়তে প্রধানমন্ত্রীর হাত শক্ত করা প্রয়োজন। তাঁর হাতে দেশ নিরাপদ। সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত। মোদির হাতে কৃষকদের জীবনও সুরক্ষিত।' তাঁকে ভারত মায়ের গর্ভ বলে অভিহিত করে যোগগুরু বলেন, ‘দেশকে রক্ষা করার ক্ষমতা যদি কারও থেকে থাকে তা শুধু প্রধানমন্ত্রীরই আছে।'
ফিরদৌস আহমেদের ভিসা বাতিল করে 'ভারত ত্যাগ'-এর নোটিস জারি করল কেন্দ্র
এই নির্বাচনে ন্যায় প্রকল্প কে সামনে রেখে প্রচার চালাচ্ছে কংগ্রেস। দলের তরফে বলা হয়েছে সরকারে এলে সমাজের সবচেয়ে গরিব ২০ শতাংশ মানুষের জন্য মাসে ৬০০০ টাকা হিসেবে বছরে ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এই ন্যায় প্রকল্পকে নিশানা করে রামদেব বলেন, ‘ওদেরশাস্তি দেওয়ার সময় এসেছে। ভারতবর্ষের প্রতিটি বুথে ন্যায় হবে। ভোটাররাই সুবিচার করবেন।'
একসময় বিজেপির সঙ্গে রামদেবের সখ্যতা ছিল প্রশ্নাতীত। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচার করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি ২০১৫ সালে হরিয়ানার ‘মুখ' নিরবাচিত হন রামদেব। কিন্তু পরে নিজেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে গুটিয়ে নেন তিনি। গত সেপ্টেম্বর মাসে এনডিটিভির যুবা অনুষ্ঠানে যোগ দেন রামদেব। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় তিনি কি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রচার করবেন? জবাবে যোগগুরু বলেন, ‘কেন করব? আমি নিজেকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে নিয়েছি। আমি সমস্ত দলের সঙ্গেই আছি আবার কোনও দলের সঙ্গেই নেই।' কয়েক মাস বাদে ডিসেম্বরে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি যা তাতে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা এখন থেকেই বলা শক্ত।'
এদিকে মনোনয়নপত্র পেশ করার আগে রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর কে প্রাণায়াম করার নির্দেশ দেন রামদেব। তিনি বলেন, ‘যারা যুদ্ধে নামছেন তাদের এই জিনিসটা করতেই হবে।'