Lok Sabha elections 2019: বঙ্গের কংগ্রেস প্রধান সৌমেন মিত্র জানিয়ে দিয়েছেন আর কোনো জোট নয়
হাইলাইটস
- নিজেদের সম্মান নষ্ট করে আমরা কোনও জোটে যাব নাঃ সোমেন
- পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার বৈঠকে বসছে বামেরা
- প্রার্থী নির্বাচনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সোমেন
কলকাতা: এবার বাংলাতেও ভেস্তে গেল জোট প্রক্রিয়া। বামেদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পরও সমাধান সূত্র না বের হওয়ায় কংগ্রেস রাজ্যে একাই লড়বে বলে জানা গিয়েছে। তার মানে আগামী মাস থেকে শুরু হতে চলা লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2019) এ রাজ্যে চারটি দলের মধ্যে লড়াই হওয়ার সম্ভবনা আরও কিছুটা বাড়ল। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি (PCC Chief) সোমেন মিত্র জানান, নিজেদের সম্মান নষ্ট করে আমরা কোনও জোটে যাব না। কোন আসন থেকে কে লড়বেন আর কে লড়বেন না সেটা বামেরা ঠিক করে দিতে পারে না। এ রাজ্যে আমরা নিজেদের শক্তিতেই লড়াই করবো। তবে বামেদের তরফ থেকে সরকারি ভাবে কিছু জানান হয়নি। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার বৈঠকে বসছে বামেরা।
উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী-অখিলেশ জোটের জন্য সাতটি আসন ছেড়ে দিল কংগ্রেস
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দিল্লি গিয়ে প্রার্থী নির্বাচনের (Election ) ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সোমেন। প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য তিন জন করে প্রার্থীর নাম ঠিক করে দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু কেন ভেস্তে গেল জোট? কংগ্রেসের একটি সূত্র বলছে, আলোচনা শেষ হওয়ার আগেই বামেরা যে ভাবে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে অপমানিত বোধ করেছে কংগ্রেস। শুধু তাই নয় নিজেদের প্রার্থী তালিকায় কংগ্রেস নেতা রেজাউল করিমের নাম ঘোষণা করেছে বামেরা। বীরভূম আসন থেকে তাঁর নাম ঘোষণা হয়েছে তবে তিনি কোন দলের প্রতিনিধি সেটা বামেদের তালিকায় উল্লেখ করা হয়নি। এটাতেই আপত্তি কংগ্রেসের। প্রদেশ সভাপতি বলেন, ওরা আমাদের প্রার্থীর নাম ঠিক করে কোন যুক্তিতে। দলের প্রবীণ নেতা শুভঙ্কর সরকার বলেন, আমরা এমন একটা জোট চেয়েছিলাম যেখানে দু' পক্ষেরই সম্মান থাকবে। কিন্তু সিপিএম সে পথে হাঁটল না।
গোয়ার সেবায় শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ে যাব, বলেছিলেন মনোহর পাররিকর
বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হওয়া নিয়ে চর্চা চলছে বেশ কয়েক দিন ধরে। একটা সময় রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ আসন নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। ওই দুটি আসনে নিজেদের দখলে ছাড়তে চায়নি সিপিএম। প্রথমে আপত্তি দেখালেও সেই বক্তব্য মেনে নেয় কংগ্রেস। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে আবার জোটের পথ সুগম হয় কিন্তু এবার সম্পূর্ণ বদলে গেল পরিস্থিতি।