শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন কমিশনের আধিকারিকরা।
সিদ্ধার্থনগর: ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু রাস্তার হাল বদলায় না। উন্নয়নের কণা মাত্র এসে পৌঁছয় না এলাকায়। এমনই অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের দোমারিয়াগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের (Domariyaganj Loksabha Seat) সাংলাদ্বীপ গ্রামের বাসিন্দাদের। আর এই অভিযোগ সামনে রেখেই এবার ভোট দিল না গোটা সাংলাদ্বীপ। সকাল থেকে ভোট শুরু হওয়ার পর ভোটাররা ভোট দিতে না আসায় নির্বাচনী আধিকারিকরা গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে যান। ভোটারদের ভোট দিতে আসতে অনুরোধ করেন তাঁরা। কাজের কাজ হয়নি। নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে ভোট নেওয়ার কথা ছিল। সে মতো নির্বাচনী আধিকারিক এবং পুলিশকর্মীরা হাজির হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু যাদের জন্য এত আয়োজন সেই ভোটাররাই এলেন না। প্রায় সাড়ে পাঁচশ ভোট রয়েছে গ্রামে। তবু সিদ্ধর্থনগর জেলার এই গ্রাম ভোট দিল না। রাস্তা না হওয়ায় ভোট বয়কট করল গোটা গ্রাম। গ্রামবাসীরা বললেন আগেও অনেকবার রাস্তার অবস্থা নিয়ে তাঁরা সরব হয়েছিলেন। কিন্তু কোনও ভাবেই রাস্তার হাল ফেরেনি। তাই এবার তাঁরা ভোট দিচ্ছেন না। শুধু রাস্তার সমস্যা নয় আছে অন্য ব্যাপারও।
Election 2019: ভোটের মধ্যেই ঐক্যে ফাটল, বিরোধী বৈঠকে গড়হাজির হতে পারেন মায়া, মমতা
প্রতি বছর বর্ষায় ভেসে যায় গোটা গ্রাম। পাশের নদী থেকে জলরাশি উঠে আসে গ্রামে। কিন্তু প্রশাসন কিছুই করে না। কোনও ব্যবস্থাই হয় না। এলাকার বাসিন্দা কানু যাদব বললেন পাশের নদীর জল বর্ষার সময় গ্রামে ঢুকে পড়ে। গোটা গ্রাম তখন যেন পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া একটা দ্বীপ। পাকা রাস্তা না থাকায় সকলকে ভেতরেই থাকতে হয়। কেউ বাইরে যেতে পারেন না। বাইরে থেকেও কেউ আসতে পারেন না গ্রামে। আরেক বাসিন্দা মূর্তি যাদব বললেন, "নদী আমাদের সবকিছু শেষ করে দিয়েছে।আমরা ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিতেও পারি। কিন্তু এবার দেব না"। গ্রামের কোনও কোনও বাসিন্দা বললেন, "একটা ভালো শৌচাগার পর্যন্ত এখানে নেই। থাকার জায়গাও অবস্থাও যথেষ্ট খারাপ। মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা যেন এ দেশেই থাকি না। আমাদের যেন কেউ দেশের অংশ বলেই মনে করে না।শ আর কারও যদি মনে হয় আমরা এ দেশের বাসিন্দা নই। তাহলে ভোট দিয়ে কী হবে"?
ভারতীর নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে আহত হলেন তৃণমূল কর্মী, এজেন্ট বসাতে গিয়ে আক্রান্ত প্রার্থীও
তবে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন কমিশনের আধিকারিকরা। স্থানীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার উমেশচন্দ্র নিগম বলেছেন, "আমরা বারবার গ্রামবাসীদের ভোট দিতে আসতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু ওঁরা রাজি হননি। যেভাবে যা যা করা যায় যা বোঝানো যায় সবই বুঝিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি"।
চুক্তিভিত্তিক প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজন দেশের নেই, বিরোধীদের কটাক্ষ করে দাবি নকভির
লোকসভা নির্বাচনে ষষ্ঠ দফায় উত্তরপ্রদেশের ১৪টি আসনে ভোট হয়েছে। গতবার এই ১৪টির মধ্যে ১৩টিতে জিতেছিল বিজেপি। দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে আর ১৩টি আসনে ভোট বাকি রয়েছে। আগামী রবিবার মানে শেষ দফায় ওই আসনগুলোতে ভোট নেওয়া হবে।