This Article is From Apr 29, 2019

আসানসোলের হিংসা নিয়ে কমিশনের হস্তক্ষেপ চাইল তৃণমূল

বাবুল সুপ্রিয়’র অভিযোগ ছিল, তাঁর এলাকায় বুথজ্যাম করে রেখে দিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। যার ফলে কোনও ভোটারই ঠিকভাবে নিজেদের ভোটটা দিতে পারছেন না।    

আসানসোলের হিংসা নিয়ে কমিশনের হস্তক্ষেপ চাইল তৃণমূল

বাবুল সুপ্রিয়'র গাড়িতে ভাংচুর করা হয়।

কলকাতা:

লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha election) চতুর্ধ দফার (Phase 4) ভোটেও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও হিংসার সাক্ষী থাকল পশ্চিমবঙ্গ। সোমবার তৃণমূল (TMC) সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠকের জন্য সময় চাইল। পোলিং অফিসারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি এবং বুথে হিংসার যে অভিযোগ উঠেছে বিজেপি (BJP) নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়'র (Babul Supriyo) বিরুদ্ধে, তা নিয়ে কথা বলতেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে চাইল তৃণমূলের ওই প্রতিনিধিদলটি। যদিও, এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে কোনও জবাব আসেনি। শুধু আসানসোলেই নয়, বীরভূমের নলহাটি এবং নানুরেও সংঘর্ষ লাগে তৃণমূল কংগ্রেস ও ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে।

অবস্থা এতটাই চরমে পৌঁছে যায় যে, আসানসোলের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় নিরাপত্তাকর্মীরা।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছাড়া সিপিএমের সব নেতা বিজেপির সঙ্গে রয়েছে: মমতা

শুধু এই স্থানগুলিতেই নয়, রাজ্যের আরও বহু জায়গায় সংঘর্ষ হয় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে।

মুখতার আব্বাস নকভি, বিজয় গোয়েল এবং অনিল বালুনি- এই তিন বিজেপি নেতার প্রতিনিধিদলটিরও বাংলার নির্বাচন সংক্রান্ত হিংসা নিয়ে বৈঠকের জন্য দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক হয়।

প্রসঙ্গত, বাবুল সুপ্রিয়'র অভিযোগ ছিল, তাঁর এলাকায় বুথজ্যাম করে রেখে দিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। যার ফলে কোনও ভোটারই ঠিকভাবে নিজেদের ভোটটা দিতে পারছেন না।   

সোমবার বীরভূম জেলার দুটি কেন্দ্রতে ভোট হয়। ওই দুটি কেন্দ্র হল- বীরভূম ও বোলপুর। সকাল থেকেই নানুরে সংঘর্ষের রিপোর্ট আসতে থাকে। তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের ভোট দিতে দিচ্ছেন না, এই অভিযোগে হাতে বাঁশের লাঠি নিয়ে পুরুষ, নারী নির্বিশেষে সকলে প্রতিবাদ মিছিল করেন। বিজেপি সমর্থকদেরও দাবি, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা তাঁদের ভোটদান করতে বাধা দেন।

দিদি, আপনি কাদার রসগোল্লায় পাথর ভরে দিলেও আমি খেয়ে নেব: নরেন্দ্র মোদী

পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে এলাকায় আসে বিশাল নিরাপত্তাবাহিনী। তাদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। 

বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের 'বাদশা' অনুব্রত মণ্ডলকে গত সন্ধে থেকেই নজরবন্দি করে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। তাঁর ফোনটিও কেড়ে নেওয়া হয়।

যদিও তাতেও তাঁর কোনও হেলদোন নেই! অনুব্রত আছেন 'অনুব্রত'তেই! তিনি নির্বিকারভাবে বলেছিলেন, "আমার ওপর ২৪ ঘন্টার নজরদারি চালিয়ে কোনও লাভ হবে না। আর ফোন কেড়ে নিয়েও কোনও লাভ নেই। যেমনভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তেমনভাবেই ভোট হবে। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। আমাদের কোনও ভয় নেই"।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.