আলাদা করে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
হাইলাইটস
- তৃণমূলের তরফে ঘোষণা হল লোকসভা ভোটে ১৪ টি রাজ্যে লড়বে তারা
- ভূবনেশ্বরে সাংবাদিকদের এ কথাই জানিয়েছেন জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ‘ও ব্রায়েন
- পাল্টা রাজ্যে এসে মহাসমাবেশকে আক্রমণ করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ
ভূবনেশ্বর: বিজেপি বিরোধী সমাবেশে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নেতাদের হাজির করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার ব্রিগেড ময়দানের সেই সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক উঠেছিল। এবার তৃণমূলের তরফে ঘোষণা হল লোকসভা নির্বাচনে মোট ১৪ টি রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তারা। ওড়িশার ভূবনেশ্বরে সাংবাদিকদের এ কথাই জানিয়েছেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ এবং জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ‘ও ব্রায়েন। তিনি বলেন, আমরা লোকসভা নির্বাচনের জন্য তৈরি। ওড়িশা-সহ মোট ১৪টি রাজ্যে আমরা লড়াই করবো। ১৯ জানুয়ারির বিগেড ছিল এক ঐতিহাসিক সমাবেশ। সমস্ত বিরোধী দলগুলি সেদিন বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার শপথ নিয়েছিল। আর পশ্চিমবঙ্গ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ৪২টি আসনেই লড়াই করবে তৃণমূল। এই মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যস্তরে অন্য কোনও দলের সঙ্গে জোট করার ভাবনা নেই তৃণমূলের।
নিজেদের দুর্নীতিগুলো নিয়ে ভয় আছে বলেই ওরা একসঙ্গে, বিরোধীদের তোপ মোদীর
১৯ তারিখের ব্রিগেড সমাবেশে হাজির হয়ে বিভিন্ন দলের নেতারা বিজেপিকে পরাজিত করার ডাক দেন। পাল্টা রাজ্যে এসে মহাসমাবেশকে আক্রমণ করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। মালদার এক জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘এটা মহাজোট নয় স্বার্থের জোট। এঁদের একটাই লক্ষ্য মোদীকে সরানো। কিন্তু মমতাদি জেনে রাখুন কয়েক জন নেতাকে এক জায়গায় এনে মোদীকে পরাজিত করা যাবে না। সেদিন ব্রিগেডের সভায় ৯ জন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। চেয়ারে বসার জন্য যেন লাইন পড়েছে। কিন্তু এনডিএতে এরকম কোনও সমস্যা নেই। এনডিএ-র নেতা একজনই – নরেন্দ্র মোদী। তাঁর নেতৃত্বেই সরকার পরিচলিত হবে। ওঁরা নিজেদের সভায় ‘ভারত মাতা কি জয়' বলেন না, বন্দেমাতারাম বলেন না তাহলে দেশের ভাল কী করবে।'
আলাদা করে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সমাবেশ থেকে বিরোধী নেতারা দাবি করেন, ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে গোলমাল ঘটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে জনমতের প্রতিফলন হচ্ছে না। এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে মোদী বলেন, ‘ হার নিশ্চিত জেনে বিরোধী দলগুলি এখন থেকেই ব্যাখ্যা ঠিক করে রাখছে।' অন্যদিকে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারও জানিয়েছেন, ইভিএম ছেড়ে পেপার ব্যালটে ফিরে যাওয়ার কোনও সম্ভবনা নেই।