কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের(Lok Sabha Elections 2019) ছটি দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়ে গেছে। রবিবার সপ্তম ও শেষ দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে শনিবার যাদবপুর লোকসভা (Jadavpur) কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikashranjan Bhattacharya) তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করলেন, রাজনীতিতে “নন-সিরিয়াস অ্যাফেয়ার” তৈরি করছে তৃণমূল। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা দুঁদে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করেছে বামেরা। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন তুচ্ছ ব্যক্তিগত ইস্যু প্রচারে তুলে ধরছে তৃণমূল ও বিজেপি। বাম প্রার্থীর আরও অভিযোগ, প্রচারে উঠে আসছে না বেকারত্ত্ব, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূলবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কৃষকের ফসলের দাম না পাওয়ার মতো বিষয়গুলি।
Elections 2019: প্রধানমন্ত্রীকে মানহানির নোটিস পাঠালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
বাম নেতা তথা এই দুঁদে আইনজীবী(Bikash Bhattacharya) মনে করেন, “নিজেদের মধ্যে লড়াই জারি রেখে” “মানুষকে বোকা বানাতে চায়” বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস।? যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে( Jadavpur Lok Sabha) তাঁর বিরুদ্ধে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, এখানে বিজেপি প্রার্থী দলত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো অনুপম হাজরা। যাদবপুর কেন্দ্রে কোনও প্রার্থী দেয় নি কংগ্রেস।
যাদবপুরে চুরাশির মমতা হয়ে উঠতে পারবেন মিমি চক্রবর্তী ?
২০১৪ লোকসভা লোকসভা নির্বাচনে(Lok Sabha Elections 2014) যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করেন হার্ভাডের অধ্যাপক সুগত বসু। যদিও এবারে ভোটের ময়দান থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অনুমতি না মেলায় তিনি ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁর সিদ্ধান্তের জন্য তিনি তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন বলে মন্তব্য করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য(Bikash Bhattacharya) ।
Elections 2019: শেষ দফায় ভোটের ময়দানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ হেভিওয়েটরা
তিনি বলেন, “সুগত বসু ছিলেন উপযুক্ত ব্যক্তি। তাঁর উপস্থিতি সংসদকে আরও উজ্জ্বল করে তুলত। আমার বিশ্বাস, তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন কারণ, তৃণমূল যেভাবে চলে, তা মেনে নিতে পারছিলেন না।বসুর চলে যাওয়ার পর রাজনীতিকে নন-সিরিয়াস অ্যাফেয়ার করে তুলছে দল”। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল চায় না, রাজনীতিতে উচ্চ শিক্ষিত, সংস্কৃতিমনস্ক, এবং সিরিয়াস এবং অপরাধী নন, এমন মানুষরা থাকুন। যাদবপুরের বাম প্রার্থীর কথায়, “বিজেপি ও তৃণমূলের প্রার্থী তালিকার তুলনা করলে দেখবেন, অপরাধী, দুর্নীতিগ্রস্ত, এবং নন-সিরিয়াস ব্যক্তিতে ভরে গেছে। এই সমস্ত মানুষদেরই নির্বাচিত করতে চায় দুই দল, কারণ যাতে কেউ তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে না পারে”।
'৯৮ এর জোটের পরে রাজ্যে বিজেপিকে সুবিধা করে দিচ্ছে তৃণমূলই; সীতারাম ইয়েচুরি
সারদা এবং নারদকাণ্ড নিয়ে আদালতে যেমন লড়েছেন, বাইরেও সোচ্চার হয়েছে দুঁদে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য(Bikash Bhattacharya) । তাঁর অভিযোগ, “তদন্তের মুখোমুখি হতে চান না” তৃণমূল নেতারা। মমতা ও মোদীকে একযোগে বিঁধে তিনি বলেন, “মমতা বা মোদী, সাধারণ ইস্যুগুলি নিয়ে কেউই কথা বলেন নি। তাঁরা শুধু ক্ষুদ্র ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলেন”। যাদবপুরের( Jadavpur Lok Sabha) বাম প্রার্থী আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্গা বলেছে আরএসএস।এটা কোনও হাল্কা মন্তব্য নয়।তিনি আরএসএসের নির্দেশ পালন করেন। তিনিই বাংলার রাজনীতিতে প্রথম ধর্ম আনেন, যার ফলে রাজ্যে জায়গা তৈরি হয় বিজেপির”। মানুষ বামদের ভোট দেবেন কেন, তার উত্তরে বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “এটা সংবাদমাধ্যমের তৈরি করা প্রশ্ন। আমার একটা পাল্টা প্রশ্ন আছে। মানুষই বলুক, বামেদের হস্তক্ষেপ ছাড়া কোনও কল্যাণমূলক সুবিধা পেয়েছে তারা”।
মানুষ বামেদের ভোট দেবেন কেন, তার উত্তরে বিকাশ ভট্টাচার্য(Bikash Bhattacharya) বলেন, “এটা সংবাদমাধ্যমের তৈরি করা প্রশ্ন। আমার একটা পাল্টা প্রশ্ন আছে। মানুষই বলুক, বামেদের হস্তক্ষেপ ছাড়া কোনও কল্যাণমূলক সুবিধা পেয়েছে তারা”। যাদবপুরের বাম প্রার্থীর কথায়, “ধর্মীয় সমস্ত বিষয় সরিয়ে রেখে নূন্যতম মজুরি, শিল্প, গরীব মানুষদের জন্য নূন্যতম আয়, চাকরি, কৃষকদের ফসলের নায্য দামের মতো ইস্যুগুলি নিয়ে কথা বামেরা।দেশের ন্যায় বামেরা, তার জয় দেশের সংবিধানকে অক্ষুণ্ণ রাখবে”।