মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়েছেন নীতিন গড়কড়ি।
নিউ দিল্লি: কখনওই বিরোধীদের ‘দেশদ্রোহী' (Anti-national) বলে দাগিয়ে দেওয়া বিজেপির (BJP) সংস্কৃতি ছিল না, কয়েকদিন আগেই নিজের অতি বিতর্কিত ব্লগে এমন কথাই লিখেছিলেন প্রবীণ বিজেপি (BJP) নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি (LK Advani)। বিজেপির এই প্রতিষ্ঠাতা-সদস্যকে এবারে তাঁর বহুদিনের কেন্দ্র গান্ধীনগর, যেখানকার ৬ বারের সাংসদ তিনি, এবারের লোকসভা নির্বাচনে সেখান থেকে টিকিটই দেয়নি ভারতীয় জনতা পার্টি। ওই ব্লগটি প্রকাশের কয়েকদিন বাদে আদবানির কথারই প্রতিধ্বনী শোনা গেল আরেক বিজেপি নেতা নীতিন গড়কড়ির (Nitin Gadkari) গলায়। এনডিটিভি'র মুখোমুখি হয়ে তিনি বৃহস্পতিবার বললেন, ভিন্নমতকে আমাদের সম্মান জানাতে হবে। সেই মতকে মন দিয়ে শুনতে হবে। সেটা তো সবসময়ই করা উচিত। কোনওভাবেই জোর করে কিছু আরোপ করা যাবে না। এটাই গণতন্ত্রের মূল মন্ত্র ও শর্ত।
তাঁকে লালকৃষ্ণ আদবানির ব্লগটি নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। “ভারতীয় জনতা পার্টির জন্মলগ্ন থেকেই এই দল কখনও ভিন্ন মতাবলম্বীদের নিজেদের ‘শত্রু' বলে ভাবেনি। বরং, বরাবরই তাঁদের ভিন্নমতটিকেও সম্মান জানিয়ে এসেছে। ভারতীয় জাতীয়তাবাদ নিয়ে আমাদের যা নীতি, আমাদের বিরুদ্ধমতের মানুষদের গায়ে আমরা কখনওই দেশবিরোধী বলে ছাপ্পা মেরে দিইনি"। নিজের ব্লগে লিখেছিলেন আদবানি।
ইন্দিরা-রাজীবের পর রাহুল গান্ধী হত্যার ছক! স্নাইপার লেজার তাক করার অভিযোগ
সেই কথারই প্রতিধ্বনী করে নীতিন গড়করি বলেন, “যাঁরা আমদের সঙ্গে নেই, তাঁদেরই দেশবিরোধী বলতে চাই না আমরা। প্রত্যেকেরই মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে। তা নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। আর, গণতন্ত্রে মতের বিরোধিতা তো থাকবেই”।
রাজনৈতিকমহলে জল্পনা, নরেন্দ্র মোদীর পদটি খালি হলে সেই জায়গায় বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে নীতিন গড়কড়িও আসতে পারতেন। গডকড়ির বহু মন্তব্যে তার ছাপও দেখা গিয়েছে।
গত বছর আমলাদের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি যদি দলের সভাপতি হতাম এবং দেখতাম যে বিধায়ক বা সাংসদরা ঠিকভাবে কাজ করছেন না, তাহলে তো তার জন্য আমি দায়ী! তাঁদের ঠিকভাবে তৈরি করতে পারিনি কেন আমি, সেই প্রশ্ন তো উঠবেই”।
প্রসঙ্গত, এবারে মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়েছেন নীতিন গড়কড়ি।