Read in English
This Article is From Apr 18, 2019

তিন কেন্দ্রে অশান্তি উপেক্ষা করে ভোট পড়ল ৬৫ শতাংশ

Voting Percentage Today: বিকেল ৩ টে পর্যন্ত তিন আসনে মোট ভোট পড়ল 65.43 শতাংশ। রায়গঞ্জে 61.84 শতাংশ, জলপাইগুড়িতে 71.32, দার্জিলিং 63.14।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

সকাল ৭ টা থেকে তিন কেন্দ্রের মোট ৫,৩৯০টি কেন্দ্রে শুরু হয় ভোটগ্রহণ।

শিলিগুড়ি:

দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ ছিল উত্তরবঙ্গের তিন আসন, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও উত্তরদিনাজপুরের রায়গঞ্জে।বিকেল তিনটে পর্যন্ত তিন আসনে মোট 65 শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানা গেছে। সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের গাড়ির ওপর হামলা থেকে শুরু করে নানা বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই ভোটারদের লাইন ছিল চোখে পড়ার মতোই। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বিকেল তিনটে পর্যন্ত তিন কেন্দ্রে মোট ভোটের হার 65.43 শতাংশ, তারমধ্যে সবচেয়ে বেশী ভোট পড়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে, বিকেল তিনটে পর্যন্ত এখানে ভোটের হার 61.84 শতাংশ।  জলপাইগুড়িতে ভোট পড়েছে 71.32 শতাংশ, এবং দার্জিলিং এ 63.14 শতাংশ ভোট পড়েছে।সকাল ৭ টা থেকে তিন কেন্দ্রের মোট ৫,৩৯০টি কেন্দ্রে শুরু হয় ভোটগ্রহণ।

সবচেয়ে বেশী অশান্তির খবর এসেছে দার্জিলিং লোকসভার চোপড়া থেকে। ভোটারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রাস্তা অবরোধ করেন ভোটাররা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন বিজেপি প্রার্থী। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ তোলেন ভোটাররা। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাত্ত্বিতের অভিযোগ তুলে ভোট দিতে অস্বীকার করেন গ্রামবাসীরা।

তৃণমূল ও বিজেপির  মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে রায়গঞ্জে। বোমা, পাথর নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় রাজ্য ও কেন্দ্রের শাসকদল। পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় RAF। এছাড়াও চোপড়ার একটি এলাকায় বুথের ভিতরেই সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল ও বিজেপি। ইভিএম মেশিন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “চোপড়ায় সম্ভাব্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। সেই নির্দিষ্ট বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এখন ভোটগ্রহণ চলছে”। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার পর পরিস্থিতি “স্বাভাবিক” বলে জানান এলাকার বাসিন্দারাও।

বুথ দখলের খবর পেয়ে এদিন ইসলামপুর যাওয়ার পথে  গাড়ি ভাঙচুর করা হয় সিপিএম প্রার্থী  তথা গতবারের জয়ী প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের। পূর্ননির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।হামলার সময় পুলিশ “নীরব দর্শকের” ভূমিকায় ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।

Advertisement

বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটের ওপর ভোট শান্তিপূর্ণ বলেই জানিয়েছেন রাজ্যের পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে।একই কথা শোনা গেছে, নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় ভি নায়েকের গলাতেও।

Advertisement

Advertisement