This Article is From Apr 24, 2019

আমরা প্রকল্পগুলো করি, আর দিদি তাতে নিজের স্টিকার জুড়ে দেন: নরেন্দ্র মোদী

মমতার বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, দিদি কী জানেন তো? ‘স্টিকার দিদি’! আমরা বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করি আর দিদি সেগুলোতে নিজের নামের স্টিকার সেঁটে দেন!

আমরা প্রকল্পগুলো করি, আর দিদি তাতে নিজের স্টিকার জুড়ে দেন: নরেন্দ্র মোদী

মমতার বিরুদ্ধে রানাঘাটের জনসভা থেকে তোপ দাগেন নরেন্দ্র মোদী।

রানাঘাট:

নদীয়া জেলার রানাঘাটে বুধবার জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই রাজ্যে তাঁর অন্যান্য জনসভার মতো এই সভাতেও জনসমাগম হয়েছিল প্রভূত। নিজের বক্তৃতায় একের পর এক তোপ দাগলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তিনি বক্তৃতার শুরুতেই বলেন, “ধর্ষকদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের আইন নিয়ে এসেছে মোদী সরকার। এর আগে কোনও সরকার যা করতে পারেনি, তা পাঁচ বছরেই করে দেখিয়েছি কেন্দ্রের সরকার। দিদির তো আমার উপর খুব গোঁসা। কিন্তু, কী করব বলুন দিদি, আমি তো সত্যিটা মানুষের কাছে বলবই। কংগ্রেস বা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে জানবেন আপনারা আসলে ভোট দিচ্ছেন সিন্ডিকেটকে। তাতে কিন্তু আদতে দুর্বল হয়ে পড়বেন আপনি, আপনার পরিবার, আপনার এলাকা, আপনার জেলা, রাজ্য এবং দেশও। দেশের শক্তিবৃদ্ধির জন্য ভোট দিন পদ্মফুলে। আপনাদের প্রতিটা ভোট সোজা মোদীর অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে”।

জনসভা থেকে এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে মন্তব্য,মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন: সূত্র

জনসভায় উপস্থিত মানুষদের তুমুল হাততালির মধ্যে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “এখন একটা অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ করেছি। মধ্য ত্রিশ বা মধ্য চল্লিশ বয়স এমন তরুণরাও দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চাইছেন! দেশের প্রধানমন্ত্রী পদটাকে কি নিলামে তুলতে চান নাকি তাঁরা? চিটফান্ডের টাকা দিয়ে কিনবেন সেই প্রধানমন্ত্রীর পদ? মাথায় রাখবেন, যদি সন্ত্রাসমুক্ত দেশ চান, দুর্নীতিমুক্ত দেশ চান, গুন্ডাগিরিমুক্ত দেশ চান, তাহলে ভোট দিতে হবে পদ্মফুলকেই। আপনার একটি ভোট দেশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হাতে তুলে দিতে পারে। আপনার একটি ভোটই দেশের চৌকিদারকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে”।

তিনি মমতার বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “দিদি কী জানেন তো? ‘স্টিকার দিদি'! আমরা বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করি আর দিদি সেগুলোতে নিজের নামের স্টিকার সেঁটে দেন! ২ টাকা কিলো দরের চালটাও কেন্দ্রের প্রকল্প। অথচ, দিদি কেমন তাতে নিজের নাম লাগিয়ে দিয়েছে দেখুন! এই পিসি-ভাইপোর খেলা এখন বাংলায় সকলে ধরে ফেলেছে। আমরা সকলের জন্য ঘরের বন্দোবস্ত করব। আপনাদের চৌকিদার আপনাদের কথা দিচ্ছে, ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সমস্ত মানুষের কাছে পাকাবাড়ি থাকবে। দিদি চলে গেলে এই কাজগুলোও তাড়াতাড়ি হবে। কীভাবে, এই ‘স্পিডব্রেকার দিদি' আপনাদের সমস্যার কারণ হয়ে উঠছে দেখুন। ওঁর থেকে পদটি কেড়ে নিন”!

.