প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তার উপর নির্ভর করেই বিরাট ব্যবধানে জিতবে বিজেপিঃ রামলাল
হাইলাইটস
- আমাদের রাজা আছে কিং মেকারের দরকার নেই, এনডিটিভিকে জানালেন রামলাল
- তিনি বলেন, ‘সরকার তৈরি করতে আমাদের অন্য কারও সাহায্য প্রয়োজন নেই
- গতবারের থেকে আরও বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার করবে বিজেপি
নিউ দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi ) জনপ্রিয়তার উপর নির্ভর করেই বিরাট ব্যবধানে জিতবে বিজেপি। এনডিটিভিকে একথাই বললেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন) রামমাধব। তিনি বলেন, ‘সরকার তৈরি করতে আমাদের অন্য কারও সাহায্য প্রয়োজন নেই। বিজেপি নিজের জোরে গতবারের থেকে আরও বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার করবে। আমাদের কারও সাহায্য প্রয়োজন পড়বে না। প্রধানমন্ত্রী একাই আমাদের সকলকে টেনে নিয়ে যাবেন।' একদিন আগেই তাঁর একটি মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় হয়েছে। তাঁর মন্তব্য শুনে অনেকেরই মনে হয়েছে সরকার গঠন নিয়ে বিজেপি দুশ্চিন্তায় রয়েছে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা খারিজ করেছেন রামমাধব।
বিজেপি বাবুরা জয় শ্রীরাম বলেন কিন্তু মন্দির বানাতে পারেন নাঃ মমতা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তার উপর নির্ভর করেই বিরাট ব্যবধানে জিতবে বিজেপিঃ রামলাল পা
শাপাশি তিনি বলেছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং অন্যরা যেভাবে কংগ্রেস এবং বিজেপিকে বাদ রেখে সরকার তৈরির কথা ভাবছেন সেটা হবে না। তাঁর কথায়, ‘চন্দ্রশেখর রাও বা চন্দ্রবাবু নাইডুরা ভাবছেন কিং মেকাররে ভূমিকা পালন করবেন। কিন্তু আমাদের কাছে রাজা আছে। কিং মেকারের প্রয়োজন তাই আমাদের নেই।'রামমাধব মনে করেন উত্তর ভারতে নিজেদের শক্তি ধরে রাখতে পারবে বিজেপি। পাশাপাশি বাংলা এবং ওড়িশার মতো জায়গা থেকেও আসন পাবে গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা এখনও অক্ষুন্ন আছে তাই আসন সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে রামমাধবের মধ্যে কোনও অনিশ্চয়তা নেই। পাশাপাশি তিনি বলেন উত্তরপূর্ব ভারতের ২৫টি আসনের মধ্যে অন্তত ১৮টি তে বিজেপি জিতবে। একদিন আগে সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ রামলালকে উদ্ধৃত করে বলে বিজেপি একার জোরে ২৭১টি আসন পেতে পারে। আর এনডিএ-র শরিকদের আসন সংখ্যা যোগ করলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া যাবে। এই বক্তব্যকে খারিজ করলেন বিজেপির এই নেতা।
একাধিক নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কখনও এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে আবার কখনও পুলওয়ামার নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে। এ নিয়ে বিরোধীরা কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে। যদিও কমিশন জানায় মোদীর মন্তব্য নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়। এ প্রসঙ্গে রামলাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জাতীয়তাবাদের কথা বলেছেন। আর জাতির সুরক্ষা নিয়ে গোটা বক্তব্যের মধ্যে ৫ মিনিট মাত্র খরচা করেছেন। বাকি সবটাই রাজনৈতিক আলোচনা। আমরা বলেছি আমাদের সরকার দেশকে আরও বেশি করে সুরক্ষিত করতে পেরেছে। তাই আমাদের ভোট দেওয়া প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ সংস্থা। যদি তাদের মনে হতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হত। কিন্তু সেরকম কিছুই হয়নি।'