This Article is From Apr 17, 2019

ফিরদৌসের পর ফের প্রচারে এসে বিপাকে আরও এক বাংলাদেশি অভিনেতা

Lok Sabha elections 2019: একই দায়ে অভিযুক্ত হলেন অন্য এক বাংলাদেশি অভিনেতা। তিনি টিভি অভিনেতা গাজি নূর।

ফিরদৌসের পর ফের প্রচারে এসে বিপাকে আরও এক বাংলাদেশি অভিনেতা
কলকাতা:

মঙ্গলবারই রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের প্রচারে যাওয়ার জন্য বিপাকে পড়েছিলেন বাংলাদেশি অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদ। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর ব্যবসায়িক ভিসাও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ডেপুটি কমিশনারের পক্ষ থেকেও জানানো হয় যে, এক দেশের নাগরিক হয়ে অন্য দেশের নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিয়ে মোটেই ঠিক কাজ করেননি ফিরদৌস আহমেদ। তাঁকে অবিলম্বে দেশে ফিরে আসার নির্দেশও দেয় বাংলাদেশ। তারপরই এই একই দায়ে অভিযুক্ত হলেন অন্য এক বাংলাদেশি অভিনেতা। তিনি টিভি অভিনেতা গাজি নূর। দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সৌগত রায়ের প্রচারে অংশ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট অভিনেতা নির্বাচন কমিশনের ঠিক করে দেওয়া বিধিলঙ্ঘন করেছেন, এই অভিযোগ তোলে বুধবার বিজেপি।

অবিলম্বে দেশে ফিরে আসুন, ফিরদৌসকে বলল বাংলাদেশ

রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “এমন আচরণ ভিসা আইনের সম্পূর্ণ বিরোধী। ভারতীয় গণতন্ত্রের সবথেকে বড় উৎসব যাকে বলা হয়, সেই লোকসভা নির্বাচনেরই চরিত্রহনন করা হচ্ছে বারবার বিদেশিদের নির্বাচনী প্রচারের অংশ করে। গণতন্ত্রের একেবারে যে মূল কাঠামো, তাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে এমন বিধিলঙ্ঘন”।

ফিরদৌস আহমেদের ভিসা বাতিল করে 'ভারত ত্যাগ'-এর নোটিস জারি করল কেন্দ্র

তিনি রাজ্যের প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান নির্বাচন কমিশনের কাছে। খোলা জিপে করে মদন মিত্রের সঙ্গেই সৌগত রায়ের হয়ে নূর গাজি প্রচার করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

যদিও, এই অভিযোগ অস্বীকার করে মদন মিত্র বলেন, “নূর আমার ভাই। ও আমাকে ডেকেছিল একটা গুরুত্বপূর্ণ নথি দেওয়ার জন্য। তার কারণ, ওই সময় আমি আমার নিজের বাড়িতে ছিলাম না। আমি তখন ওকে বিটি রোডে আসতে বলি। নূর কারও হয়ে প্রচার করেনি। একটা কথাও বলেনি। সৌগত রায়ও ওখানে ছিলেন না”।

তোষণের রাজনীতি করতেই ফিরদৌসকে দিয়ে প্রচার করিয়েছে তৃণমূলঃ বাবুল সুপ্রিয়

এই ব্যাপারে নূর গাজির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

যদিও, বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, নূর গাজিকে এই ঘটনার জন্য কড়া ভাষায় ‘সতর্ক' করে দেওয়া হয়েছে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.