ভোট- বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে আজ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে কংগ্রেস। দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি (Congress Working Committee) আর একটু বাদেই বৈঠকে বসতে চলেছে। সেখানে হারের কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে পাশাপাশি সভাপতি পদ থেকে রাহুল গান্ধী (Congress president Rahul Gandhi) শেষমেশ ইস্তফা দিচ্ছেন কিনা তা স্পষ্ট হবে। এবার নিয়ে পরপর দুবার লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ফল ভাল হল না। আর তার দায় নিয়েই পদ ছাড়তে চান রাজীব- তনয়। অন্যদিকে ২০১৪ সালের পর ২০১৯ সালেও একক সংখ্যাগোরিষ্ঠতায় সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। এবার একাই ৩০০-র বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি। আর কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা ৫২।
কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা ৫২জন। সেখানে ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও আছেন। আছেন পাঞ্জাব থেকে শুরু করে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীরা।
গতবার সভাপতি না হলেও নির্বাচনে কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাহুল। আর এবার সভাপতি হিসেবে তিনি-ই দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। দল সাফল্য পায়নি। নিজের ‘কর্মভূমি' অমেঠীতে পরাজিত হয়েছেন তিনি। কাজে আসেনি তাঁর চৌকিদার চোর হ্যায় স্লোগান। এমতাবস্থায় কাল শনিবার বৈঠকে বসছে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটি। সেখানেই পদত্যাগ করতে পারেন রাহুল। ভোটের সম্পূর্ণ ফল প্রকাশিত হওয়ার আগেই হারের জন্য দায় নেন রাহুল। সাংবাদিকরা তাঁর কাছে জানতে চান তিনি কি পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন? উত্তরে রাহুল বলেন সেটা তিনি কার্যনির্বাহী কমিটিকেই জানাবেন।
২০১৪ সালের ভোটের সময় কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন সোনিয়া, রাহুল ছিলেন সহ সভাপতি। পদ ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন দুজনেই। সেবার ৪৪ টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। নেহরু –গান্ধী পরিবাররে প্রতি সদা অনুগত কংগ্রেস দুজনকেই পদে থেকে যেতে অনুরোধ করে। তবে এবার নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ কিছুটা বেশি। ইতিমধ্যেই রাজস্থানের এক কংগ্রেস নেতা বলেছেন, কিছু পরিবর্তনের ইচ্ছা থাকলে নেতৃত্বেই বদল আনা দরকার। শুধু তাই নয় নেহরু- গান্ধী পরিবারের নেতৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে বৈঠকের আগেই কংগ্রেসে ‘পদত্যাগ – পর্ব' শুরু হয়েছে। সকালেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বর। দলের সভাপতিকে চিঠি লিখে নিজের ইস্তফার কথা জানান রাজ। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু নির্বাচনে দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের। পদ ছেড়েছেন কর্নাটক এবং ওড়িশার দুই নেতাও।