লোকসভা ভোটে (Lok Sabha election 2019 results) মোদি ঝড়ের ১০ টি তথ্য দেখুন:
২০১৪ সালে ২৮২টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। এনডিএ দখলে ছিল ৩৩৬টি আসন। এবার সেই লক্ষ্যমাত্রা পার করে গিয়েছে বিজেপি।
নির্বাচনে জয়ের পর টুইট করে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তাঁরা বলেছেন, এই জয় দেশের মানুষের জয়, যুব সম্প্রদায়ের জয়,গরীবের জয়।
.জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমরা দেশবাসীর রায় মেনে নিলাম। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের যত্ন নিন। দেশের স্বার্থ রক্ষা করুন। পাশাপাশি রাহুল জানান, আদর্শের লড়াই তাঁরা লড়বেন।
মোদী-শাহদের খাস তালুক গুজরাট বিজেপিকে দু'হাত তুলে সমর্থন করেছে। বিরোধীরা কোনও আসন পায়নি এখানে। একইভাবে দিল্লি এবং রাজস্থান বিরোধীরা শূন্য। বিহারে দুটি আসন বাদ দিলে বাকি ৩৮টিতেই জয় হয়েছে শাসক জোটের। মধ্যপ্রদেশ থেকে ছত্রিশগড়ও গেরুয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার।
কর্নাটকে বিজেপির যে ফল হয়েছে তারপর সে রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়াই স্বাভাবিক। এমনিতেই কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে এই সরকার চালান কুমারস্বামী। কিন্তু নির্বাচনে এমন ভরাডুবির পর সরকার কীভাবে চলবে তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন থেকে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই জরুরী ভিত্তিতে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ রাজ্যে একক সংখ্যা গোরিষ্ঠ দল বিজেপি। তাই আগামী দিন কর্ণাটক কোন নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের জন্ম দেয় কিনা সেটাই এখন দেখার।
অন্ধপ্রদেশে ভরাডুবি হয়েছে চন্দ্রবাবু দলের। ক্ষমতায় আসতে চলেছে ওয়াই এস আর কংগ্রেস। এই ফলাফল সম্পর্কে দিল্লির বিজেপির সদর দপ্তর থেকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অমিত। চন্দ্রবাবুর নাম করে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি দেশের এ প্রান্ত থেকে শেষ প্রান্তে ছুটে ছুটে বিজেপি বিরোধী জোট করার চেষ্টা না করে রাজ্যে প্রচার করতেন তাহলে কিছু আসন জিততেন।
বিধানসভা নির্বাচনের পর লোকসভা নির্বাচনেও কংগ্রেস পাঞ্জাবকে পাশে পেয়েছে। রাজ্যের ১৩টি আসনের মধ্যে আটটিতে এগিয়ে গিয়েছে বা জিতে গিয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি বিরোধী দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফল করেছে তামিলনাড়ু ডিএমকে এবং একই সঙ্গে কেরালায় কোন আসন পায়নি বিজেপি।
বিজেপি বিরোধী জোট উত্তরপ্রদেশ থেকেই শুরু হয়েছিল। দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যে গেরুয়া পতাকা অস্তমিত করার রণকৌশল নিয়েছিলেন অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতী। তবে তাতে তেমন কোনও ফল হয়নি। ৮০টির মধ্যে ৬৩ টি আসনে জিতেছে বিজেপি।
পশ্চিবঙ্গও রাজনৈতিক পণ্ডিতদের চমকে দিয়েছে বৃহস্পতিবার। তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিয়ে ১৮ টি আসনে জিতেছে বিজেপি। ২২টি আসন দখলে রাখলেও আগামী দিন রাজ্যে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখা নিয়ে চিন্তায় আছে তৃণমূল।
তামিনাড়ুতে লোকসভার পাশাপাশি বিধানসভা উপনির্বাচনেও ভাল ফল করেছে ডিএমকে। ১৮ টি বিধানসভার উপনির্বাচনে জিতেছে স্ট্যালিনের দল। পরিস্থিতি এমন যে তামিলনাড়ুর এআইএডিএমকে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় তারাই আসতে পারে।