This Article is From May 05, 2019

বনগাঁয় তৃণমূলের হ্যাট্রিক না বাজিমাত বিজেপির

Lok sabha Election 2019:রাত পোহালেই বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। উত্তর চব্বিশ পরগনা এবং নদীয়ার কিছুটা অংশ নিয়ে এই লোকসভা কেন্দ্রটি তৈরি হয়েছে।

বনগাঁয় তৃণমূলের হ্যাট্রিক না বাজিমাত বিজেপির

হাইলাইটস

  • মতুয়াদের সংখ্যাধিক্য বনগাঁ লোকসভা আসনটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য
  • ২০০৯ সালে ডিলিমিটেশন এরপর এই কেন্দ্রটি তৈরি হয়
  • পরপর ১০ বছর এখান থেকে তৃণমূলের প্রতিনিধিরাই নির্বাচিত হয়েছেন
কলকাতা:

রাত পোহালেই বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের (Bongaon LS ) নির্বাচন। উত্তর চব্বিশ পরগনা এবং নদীয়ার কিছুটা অংশ নিয়ে এই লোকসভা কেন্দ্রটি তৈরি হয়েছে। মতুয়াদের সংখ্যাধিক্য লোকসভা আসনটির   অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রথম থেকেই দেখা যাচ্ছে মতুয়াদের ভোট যে দলের দিকে যায় এই আসন থেকে তারই জয় হয়। তবে বনগাঁ কেন্দ্রটি অপেক্ষাকৃত নতুন। ২০০৯ সালে ডিলিমিটেশন এরপর এই কেন্দ্রটি তৈরি হয়। পরপর ১০ বছর এখান থেকে তৃণমূলের প্রতিনিধিরাই নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথম নির্বাচনে জিতেছিলেন গোবিন্দ চন্দ্র নস্কর। পরে নির্বাচনে জেতেন মতুয়া সম্প্রদায়ের বড়মার ছেলে কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর। কিন্তু নির্বাচনে জেতার অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর জীবনাবসান হয়। উপ নির্বাচনে জিতে আসেন স্ত্রী মমতাবালা। এবারও তাঁকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল।

অর্জুনকে সৈনিক করে ব্যারাকপুরে পদ্ম ফোটাতে পারবে বিজেপি?

গতবার এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী তথা বিগত  বাম সরকারের মন্ত্রী দেবেশ দাশ। কিন্তু এবার মূল লড়াইটা তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির। আরও স্পষ্ট করে বললে বনগাঁ কার দখলে থাকবে তা নিয়ে লড়াইটা আসলে ঠাকুর বাড়ির অন্দরেই। তৃণমূলের পাশাপাশি ঠাকুরবাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুরকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। অলোকেশ দাসকে প্রার্থী করেছে  সিপিএম। কংগ্রেসের প্রার্থী সৌরভ প্রসাদ। প্রচারে গিয়ে গতকাল পথ দুর্ঘটনায় পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন শান্তনু। তাতে  চক্রান্ত দেখছে বিজেপি।      তাছাড়া কয়েকদিন আগেই মতুয়া মহাসঙ্ঘের বড়মায়ের প্রয়াণ হয়েছে। সব মিলিয়ে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

লোকসভা কেন্দ্রটির মধ্যে সাতটি বিধানসভা আছে। কল্যাণী, হরিণঘাটা, বাগদা, বনগাঁ উত্তর বনগাঁ দক্ষিণ, গাইঘাটা এবং স্বরূপনগর এই সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র-ই সংরক্ষিত। গত বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা কেন্দ্রে ইন্দ্র পতন হয়েছিল বাম কংগ্রেসের জোট প্রার্থী দুলাল বর হারিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী তথা সিবিআইয়ের প্রাক্তন আধিকারিক উপেন বিশ্বাসকে।    

প্রাচীন জনপদ শ্রীরামপুরে এবার দুই আইনজীবীর লড়াই

২০১৫ সালের লোকসভার উপ-নির্বাচনে মমতা বালা প্রায় ৪৩.২৭ শতাংশ ভোট পান। সিপিএম প্রার্থী পান ,২৬.৩০ শতাংশ ভোট বিজেপি সুব্রত ঠাকুর পান ২৪.১৭ শতাংশ ভোট। তবে এবার বিজেপির ভোট বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। শেষমেষ বনগাঁ রায় কোন দিকে যায় তা  জানা যাবে ২৩ মে।

.