নিউ দিল্লি: রাজ্যে ও অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের আবেদন জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) দ্বারস্থ হল বিজেপির প্রতিনিধি দল। তাদের দাবি, ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া কে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করে তুলতে দুষ্কৃতী, পুলিশের খাতায় নাম থাকা অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। রাজ্যের সাত দফায় লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Elections 2019) ভোট প্রক্রিয়া চলছে। রবিবার সপ্তম বা শেষ দফার ভোটগ্রহণ(7 th phase polling) । বিগত ছটি দফাতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিংসা এবং প্রাণহানির খবর এসেছে। সেই কারণেই সপ্তম দফা ভোটগ্রহণের আগেই কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারে সাংবিধান ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতারা।
Lok Sabha Election 2019ঃ একই জায়গায় বিদ্যাসাগরের নতুন মূর্তি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেন মোদী
মঙ্গলবার শহরে রোড শো করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ (Amit Shah Rally In Kolkata)। তাকে কেন্দ্র করে চরম হিংসা ছড়ায়। বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন পড়ুয়া বিজেপি বিরোধী স্লোগান দেন বলে অভিযোগ। তাঁদের দিকে হাতে রড নিয়ে নাকি তেড়ে যান বিজেপি সমর্থকরা। গেটের রেলিং বেয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে ভাঙচুর চালান হয় বলে অভিযোগ। ভাঙা পড়ে বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি(Vidyasagar Statue Vendalism)।
Loksabha Election 2019: বিরোধী দলের বৈঠকে ২৩ মে, আয়োজক খোদ সনিয়া গান্ধী
বিজেপি ও তৃণমূলের রাজনৈতিক বুকযুদ্ধ তুঙ্গে ওঠে। মূর্তি ভাঙা(Vidyasagar Statue Vendalism) নিয়ে একে অপরের দিকে দোষারোপ শুরু করে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস। দুই দলই ভিডিও ও ছবি দেখিয়ে অন্যকে দোষারোপের চেষ্টা করে এবং নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় উপচে পড়ে সমালোচনা, পক্ষে বিপক্ষে তরজা চলতে থাকে।
এরমধ্যেই বুধবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার মধ্যে শেষ দফার ভোটপ্রচার শেষ করতে হবে। তারপর আর কোনও প্রচার করা যাবে না। আর তা নিয়েই তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে এই পদক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন(Election Commission)।
Loksabha Elections 2019: তৃণমূলের আমলে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র গুণ্ডাতন্ত্রে রূপান্তরিত হয়েছেঃ বিজেপি
আর্টিকেল ৩২৪ প্রয়োগ করে রাজ্যে ভোট এই প্রথমবার। বৃহস্পতিবার বিজেপি(BJP) নেতা তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকড়, মুক্তার আব্বাস নাকভি, এবং বিজয় গোয়েল নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) দফতরে যান। সম্প্রতি তৃণমূল ও বিজেপির রাজনৈতিক হিংসা ও সংঘর্ষের ঘটনা নির্বাচন কমিশনারকে জানানোর পাশাপাশ রবিবারের ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার দাবি জানান তাঁরা। একটি স্মারকলিপিতে বিজেপির(BJP) তরফে বলা হয়, “নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) আদেশনামা পড়ে বোঝা যাচ্ছে, রাজ্যে সংবিধান পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে , আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভেঙে পড়েছে...নির্বাচন কমিশন এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মতো শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদনাম করা, দেশের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য এবং সংবিধানের পক্ষে বিপজ্জ্বনক”।
“নির্বাচন কমিশনের জন্য দুঃখ হয়” প্রচারের সময় কমানো নিয়ে বললেন মমতা
দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়াও বাহিনী মোতায়েন করা থেকে শুরু করে অনুমতি দেওয়া, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো কাজগুলির দায়িত্বও নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) পর্যবেক্ষকের মাধ্যমেই চায় বিজেপি(BJP)।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে সিআরপিএফ বা সিআইএসএফ বা অন্য কোনও বাহিনীর অফিসারকে ব্যক্তিগতভাবে বাহিনী মোতায়েন করা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা যেতে পারে”।
আগামী রবিবার শেষ দফায়(7 th phase polling) রাজ্যের ৯টি আসনে ভোটগ্রহণ।