হাইলাইটস
- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন
- সূত্র থেকে এই খবর জানতে পেরেছে এনডিটিভি
- মোদীর পাশাপাশি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহরও সমালোচনায় সরব বিরোধীরা
নির্বাচনী জনসভা থেকে এয়ারস্ট্রাইক (Air Strike) নিয়ে মন্তব্য করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi ) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সূত্র থেকে এই খবর জানা গিয়েছে। সূত্র থেকে এই খবর জানতে পেরেছে এনডিটিভি। এমনিতেই জনসভা থেকে এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করায় মোদীর পাশাপাশি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহরও (BJP President Amit Shah) সমালোচনা করে বিরোধীরা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে বলা হয়েছে ভোট প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে না। তার আগেই ব্যবস্থা নিয়ে নেওয়া হবে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বালাকোটে (Balakot Air Strike) হামলার পর থেকে একাধিকবার নির্বাচনী জনসভায় এই প্রসঙ্গটি টেনে এনেছেন মোদী। সিপিএম এবং কংগ্রেস এ নিয়ে কমিশনে অভিযোগ করে। এর আগে গতকাল কমিশন জানায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরুর সময় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয় সেনার প্রসঙ্গকে ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এয়ার স্ট্রাইকের পর থেকেই এই বিষয়টিকে প্রচারের কাজে লাগানোর চেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে দেখা যায়। এবারের নির্বাচনে বিজেপি দেশপ্রেম এবং জাতীয় সুরক্ষার উপর বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই সেনা সংক্রান্ত কমিশনের নির্দেশ একাধিকবার লঙ্ঘিত হয়েছে।
এগুলি নির্বাচনী আচরণ বিধির লঙ্ঘন এবং শাস্তিযোগ্য কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কমিশনকে।
নির্বাচন শুরুর মাত্র দিন দুয়েক আগে প্রথম ভোটারদের বিজেপিকে বেছে নেওয়ার আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহারাষ্ট্রের জনসভা থেকে তিনি বলেন তাঁরা যদি প্রথম ভোট বিজেপিকে দেন তাহলে শক্তিশালী দেশ গড়ে উঠবে। মাস দুয়েক আগে জঙ্গি হানার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হানে বায়ুসেনা। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের প্রথম ভোট কি ওই বীর জওয়ানদের কথা ভেবে দেওয়া যেতে পারে?
বিরোধীরা এমনিতেই অভিযোগ করে আসছে সশস্ত্র বাহিনীর কৃতিত্বকে ভোটের প্রচারে লাগাচ্ছে বিজেপি। মানে বিজেপির দাবি তারা ছাড়া আর কেউ যেন দেশের কথা ভাবে না। বিরোধীদের এমন দাবির মাঝেই বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য লালকৃষ্ণ আদবানীর লেখা ব্লগ প্রকাশ্যে আসে। তাতে অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের এই প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী লেখেন, যাঁরা বিরধিতা করে তাঁদের দেশদ্রোহী বলার রীতি আমাদের দলে নেই।