हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Jan 28, 2020

CAA-বিরোধী প্রস্তাবকে "অনুপযুক্ত" বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে লিখলেন লোকসভার স্পিকার

লোকসভার স্পিকার Om Birla লিখেছেন, নাগরিকত্ব আইন সংসদের উভয় সভায় যথাযথ বিবেচনার মাধ্যমেই পাস করা হয়েছে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Citizenship Amendment Act: লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের সভাপতিকে চিঠি লিখেছেন

Highlights

  • সিএএ-এর পক্ষে সওয়াল করে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে চিঠি লোকসভার স্পিকারের
  • যথাযথ নিয়ম মেনেই সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস হয়েছে বলে দাবি তাঁর
  • "সিএএ গোটা বিশ্বে বৃহত্তরভাবে রাষ্ট্রহীনতার আশঙ্কা তৈরি করবে", বলে ইইউ
নয়া দিল্লি:

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) পক্ষে সওয়াল করে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নকে চিঠি লিখলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) ৭৫১ জন সদস্যের মধ্যে ৬২৬ জন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জম্মু ও কাশ্মীর প্রসঙ্গে ৬টি বিরোধী প্রস্তাব পেশ করে। ইইউ-পার্লামেন্টের বহু সাংসদ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "যে পন্থা অবলম্বন করে ভারত সরকার সিএএ (Citizenship Amendment Act) লাগু করেছে, তা গোটা বিশ্বে বৃহত্তরভাবে রাষ্ট্রহীনতার আশঙ্কা তৈরি করবে। যার কারণে বাড়বে মানুষের দুর্ভোগ"।  এই ধরনের প্রস্তাব একটি "অস্বাস্থ্যকর নজির" স্থাপন করবে এমনটা উল্লেখ করে স্পিকার (Om Birla) লেখেন: "একটি আইনসভার পক্ষে অন্যের উপর রায় চাপিয়ে দেওয়া অনুচিত, এটা এমন একটি অভ্যাস যাকে স্বার্থের কারণে অপব্যবহার করা যায়"।

সিএএ প্রসঙ্গে ওম বিড়লা লিখেছেন যে, নাগরিকত্ব আইন সংসদের উভয় সভায় যথাযথভাবে বিবেচনা করেই পাস করা হয়েছে। ইইউ সংসদের সভাপতিকে সম্বোধন করে ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, "এই আইনটিতে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলিতে যারা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়েছে তাদের সহজ উপায়ে নাগরিকত্ব দানের বিধান রয়েছে। এটি কারও কাছ থেকে নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আনা হয়নি।"

"বৃহত্তর রাষ্ট্রহীনতার সঙ্কট", পূর্বাভাস দিল ইইউ'র CAA-বিরোধী খসড়া

Advertisement

এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা অভিযোগ করছিল যে "ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হচ্ছে এবং যাঁরা এর বিরোধিতা করছে, সে বিরোধী দল হোক, কোনও মানবাধিকার গোষ্ঠী হোক... কিম্বা সরকারের সমালোচনা করা সাংবাদিক, সকলকেই দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে" । 

প্রগতিশীল জোটের সমাজতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক জোটের যে প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়েছিল তাতে বলা হয়েছে "ভারত শরণার্থী নীতিতে ধর্মীয় মানদণ্ডকে অন্তর্ভুক্ত করেছে"। পাশাপাশি ইউরোপীয় পিপলস পার্টি "সিএএ নিয়ে দেশে যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার নেতিবাচক পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে এবং এর জেরে অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে"।

Advertisement

"পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ", ইউরোপীয় ইউনিয়নের CAA বিরোধী প্রস্তাবে বলল ভারত

দেড় শতাধিক আইন প্রণেতা এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ভারতের সঙ্গে যে কোনও বাণিজ্য চুক্তির করার সময় "কার্যকারণ এবং স্থগিতকরণ ব্যবস্থার সাথে একটি শক্তিশালী মানবাধিকার ধারা"-র উপর জোর দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে শুরু হওয়া ইউরোপীয় সংসদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে এই প্রস্তাবগুলি উপস্থাপন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।  এর কয়েক দিন পরেই ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট সিএএ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি বিচারে বিশ্ব গণতান্ত্রিক সূচকে ভারতকে ১০ সূচক নামিয়ে দিয়েছে।

Advertisement

সিএএ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রশ্ন তুললেও মোদি সরকার দুটি বিষয়কেই দেশের "অভ্যন্তরীণ বিষয়" বলে উল্লেখ করেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই মাসের গোড়ার দিকে বিদেশি কূটনীতিকদের জম্মু ও কাশ্মীরের সফর স্থগিত  করে দেয়। সেই সময় একটি সূত্র এনডিটিভিকে জানায় যে রাষ্ট্রদূতরা ওই অঞ্চলে "গাইডেড সফর" চান না।

Advertisement

Advertisement