দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে আজ রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। মোদীর সভা হবে ঠাকুরনগর এবং দুর্গাপুরে আর রাজনাথ সভা করবেন উত্তরবঙ্গের দুটি জায়গায়। দীর্ঘদিন ধরেই মোদীর সভা নিয়ে টালবাহানা চলছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখ কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে সভা করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কয়েকটি কারণে তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। ব্রিগেডে বড় সমাবেশ করার বদলে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কয়েকটি আলাদা আলাদা জনসভা করাতে চায় বিজেপি। সে কারণেই আজ রাজ্যে আসছেন তিনি। আর তাঁর সভার জন্য বেছে নেওয়া ঠাকুরনগর এবং দুর্গাপুরের রাজনৈতিক তাৎপর্য ভোটের অঙ্কের নিরিখে অনেকটাই। ঠাকুরনগর মতুয়া অধ্যুষিত এলাকা। সমগ্র উত্তর চব্বিশ পরগনার ভোটের ফলাফল বদলে দিতে পারে মতুয় সম্প্রদায় । পূর্ববঙ্গ থেকে এদেশে চলে আসেন এই সম্প্রদায়ের মানুষজন। বিজেপির আশা তাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী।
ভোটের উপর এই বাজেটের প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন মনমোহন সিং
অন্যদিকে দুর্গাপুরের পাশেই আসানসোল। এখান থেকেই গত নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এবার তাঁকে পরাস্ত করতে এই কেন্দ্র থেকে হেভিওয়েট প্রার্থী দাঁড় করানোর কথা ভাবছে তৃণমূল। সে দিক থেকে দেখলে এই সভার রাজনৈতিক তাৎপর্য যথেষ্টই। এদিকে রাজ্যে আসছেন রাজনাথও। উত্তরবঙ্গের ফালাকাটা এবং মাথাভাঙায় সভা করবেন তিনি।
এই দফায় দুটি সভা করলেও কয়েক দিনের মধ্যেই আবার রাজ্যে আসবেন মোদী। ৮ তারিখ শিলিগুড়িতে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। শুধু মোদী বা রাজনাথ নন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ থেকে শুরু করে আরও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে রাজ্যে নিয়ে এসে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। তাদের লক্ষ্য মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই একপ্রস্থ প্রচার সেরে রাখা। ইতিমধ্যেই দুটি সভা করে গিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। প্রথমে মালদা এবং পরে পূর্ব মেদিনীপুরের সভা থেকে তৃণমূলকে জোরালো আক্রমণ করেছেন অমিত।