হাইলাইটস
- অর্জুনকে সৈনিক করে ব্যারাকপুরে পদ্ম ফোটাতে পারবে বিজেপি
- ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র দীর্ঘদিন সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি ছিল
- মোট ছ’বার এই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। প্রাক্তন সাংসদ তড়িৎবরণ তোপদার
কলকাতা: ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র (Barrakpur Loksabha Constituency) দীর্ঘদিন সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি ছিল। মোট ছ'বার এই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। প্রাক্তন সাংসদ তড়িৎবরণ তোপদার। গত দুটি নির্বাচনে অবশ্য এই কেন্দ্রে তৃণমূলের জয় হয়েছে। কিন্তু এবার এই লোকসভা কেন্দ্রটির লড়াই অন্য কারণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উত্তর ২৪ পরগনা ডাকাবুকো তৃণমূল নেতা অর্জুন সিং (Arjun Singh) দল বদলে এখন বিজেপিতে। তাঁকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। বস্তুত প্রার্থী হওয়া নিয়ে গোলমালের জেরেই দলত্যাগ করেছেন তৃণমূলের এই চারবারের বিধায়ক। এখন ব্যারাকপুরের এই এলাকা থেকে সেই কেন্দ্র ছুটে বেড়াচ্ছেন অর্জুন। তবে সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী (Dinesh Trivedi) আশা করছেন তিনি ১০ বছর যে কাজ করেছেন তার ভিত্তিতেই ভোট দেবেন এখানকার ভোটাররা।
অন্যদিকে অর্জুন আত্মবিশ্বাসী যে এবার ব্যারাকপুরে পদ্ম ফুল ফুটবেই। একাধিক সাক্ষাৎকারে অর্জুন জানিয়েছেন গত দুটি লোকসভা নির্বাচনে দীনেশ যাতে জিততে পারেন সে ব্যবস্থা তিনি করে দিয়েছিলেন। এবার তা হবে না বলেই হেরে যাবেন দীনেশ। এই কেন্দ্রটি তে প্রচার করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রচার করেছেন। প্রচার করেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু প্রচার করায় নয় সভা থেকে অভিষেক বলেছেন পচা গুন্ডা এখন কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না। নাম না করে অর্জুনকে এভাবে আক্রমণ করায় তিনিও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁর কথায় এখন তৃণমূল ক্ষমতায় আছে বলে অভিষেক এত বড় বড় কথা বলছেন। তৃণমূল ক্ষমতার বাইরে গেলে একটা পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতার ক্ষমতাও অভিষেক রাখেন না । এরকম উত্তেজক ভোট হচ্ছে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে।
শুধু লোকসভা ভোট নয় অর্জুনের ভাটপাড়ার বিধানসভাতেও ভোট হচ্ছে। সেই ভোটে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। বলা যেতে পারে সারদা কাণ্ডে দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর সেভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে মদনের উপস্থিতি দেখা যায়নি। এই বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে ফিরে এলেন মদন। অন্যদিকে মদনের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন অর্জুনের ছেলে পবন। এখানেও অবাঙালি ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে। তাছাড়া নির্বাচনের আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ব্যারাকপুরের একাধিক এলাকা। বিভিন্ন জায়গা থেকে সংঘর্ষের খবর এসে পৌঁছেছে। এই দুজন ছাড়াও সিপিএমের যুব নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায় এবং কংগ্রেসের মহাম্মদ আলম এখান থেকে প্রার্থী হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙ্গা, বীজপুর নৈহাটি, ভাটপাড়া, জগদ্দল নোয়াপাড়া এবং ব্যারাকপুর- এই বিধানসভা কেন্দ্রগুলি নিয়ে লোকসভাটি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে আছে বীজপুর। সেখানকারই নেতা মুকুল রায়। এখন তিনিও বিজেপিতে। এমতাবস্থায় তৃণমূল গড় রক্ষা করতে পারে কিনা তা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।