This Article is From May 17, 2019

Lok sabha Elections 2019:প্রচারের সময় কমিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে কমিশন,দাবি কেজরিওয়ালের

Lok sabha Election 2019: তাঁর কথায়, কমিশনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ হওয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী সভা শেষ হওয়ার পর প্রচার শেষ হল কেন তা  নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

Lok sabha Elections 2019:প্রচারের সময় কমিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে কমিশন,দাবি কেজরিওয়ালের

Lok sabha Election 2019: সময় কমানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে কংগ্রেসও।

হাইলাইটস

  • নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলের নেতারা
  • কেজরিওয়ালের মনে হয়েছে কমিশনের আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট
  • তাঁর কথায়, কমিশনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ হওয়া একান্ত প্রয়োজন
নিউ দিল্লি:

পশ্চিমবঙ্গে প্রচার আগে শেষ করে দেওয়া নিয়ে আগেই নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। এবার আসরে নামলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Delhi CM)  তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejeiwal)  । তাঁর  মনে হয়েছে কমিশনের আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট (biased)। আর তাই তা নিন্দা যোগ্য বলে মনে করেন অরবিন্দ।  তাঁর কথায়, কমিশনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ হওয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী সভা শেষ হওয়ার পর প্রচার শেষ হল কেন তা  নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। দেশের ইতিহাসে এর আগে নির্বাচন কমিশন কখনও এতটা পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেনি। আমরা  সবাই  মমতার পাশে  আছি আশা  করি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ইভিএমেই এই অন্যায়ের জবা দেবে।  

গোলমালের পরেই প্রচার পক্রিয়া বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন রাজ্যের দুই পর্যবেক্ষক

কমিশনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিরোধী দলগুলির দাবি  বোঝাই যাচ্ছে  তারা বিজেপির কাছে  আত্ম সমর্পণ করেছে। উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএসপি নেত্রী মায়াবতী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। 

তিনি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ মমতাকে আড়াল থেকে বেছে বেছে আক্রমণ করছেন। একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছে  এই ব্যবহার প্রত্যাশিত নয়। কমিশন বৃহস্পতিবার রাত দশটা থেকে প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কেন? প্রচার আগে শেষ  করতে হলে সকাল থেকেই করা যেতে পারত। কিন্তু হল না। কেন? দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর দুটি সভা ছিল  বলেই কি, কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিল? এটা অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। কমিশন চাপের মুখে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে।       

প্রধানমন্ত্রী বিদ্যাসাগরের মূর্তি করবেন, রামমন্দিরের কী হল, প্রশ্ন মমতার   

সন্ত্রাসের জন্য প্রাচারের সময় কমানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে কংগ্রেসও। দলের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, এটা ভারতীয় গণতন্ত্রের জন্য অন্ধকার সময়। পশ্চিমবঙ্গের জন্য কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সংবিধানের রীতিনীতির বিরোধী। তিনি বলেন, কমিশন নিজের নিরপেক্ষতা পরিত্যাগ করেছে। তাই শুধু কয়েকটি বিশেষ  ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিচ্ছে। কংগ্রেসও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর  বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়নি। প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর বিরুদ্ধে আমরা ১১টি অভিযোগ করেছি। কিন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টে ১৬ তারিখ আর কেউ সভার অনুমতি পাচ্ছেন না কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে। এক সময় নির্বাচন কমিশন দেশের একটি নিরপেক্ষ সংস্থা ছিল। তার এই অবস্থান বদল লজ্জা জনক। এমসিসি মানে মডেল কোড অফ কনডাক্ট নয় মোদী কোড অফ কনডাক্ট।        

প্রতিক্রিয়া  দেওয়ার পাশাপাশি  আম আদমি পার্টির তরফে রাজনৈতিক কর্মসূচি নেওয়া হয়। চিত্তরঞ্জন পার্কে মশাল মিছিলের আয়োজন করা  হয়।  আপ মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, বাংলায় যা হচ্ছে তা  আমাদের আতঙ্কিত করেছে। এটি একটি জটিল পরিস্থিতি। আর  এখান থেকেই বোঝা যায় আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিপদের মধ্যে আছে।  

.