This Article is From Mar 28, 2019

রাহুল বাচ্চা ছেলে, কংগ্রেস সভাপতির সমালোচনার জবাব এড়িয়ে মন্তব্য মমতার

Loksabha Elections 2019: মালদার সভায় একযোগে  নরেন্দ্র মোদী (PM Modi ) ও মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি (Congress President )।

রাহুল বাচ্চা ছেলে, কংগ্রেস সভাপতির সমালোচনার জবাব এড়িয়ে মন্তব্য মমতার

Loksabha Elections 2019: রাজ্যে এসে রাহুল বলেন সিপিএমকে  সরিয়ে তৃণমূলকে এনে কোনও লাভ হয়নি।

হাইলাইটস

  • রাহুল বাচ্চা ছেলে, কংগ্রেস সভাপতির সমালোচনার জবাব এড়িয়ে মন্তব্য মমতার
  • কংগ্রেস নিজেদের সভাপতিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়
  • এ হেন রাহুলকে দীর্ঘ দিন ধরেই ‘পাপ্পু’ বলে আক্রমণ করে আসছে বিজেপি
কলকাতা:

মাঝের ব্যবধানটা প্রায় চার দিনের। মালদায় সভা করে একযোগে  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi ) ও মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি (Congress President )। বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী সারাদিন মিথ্যা কথা বলেন আর মুখ্যমন্ত্রী কথা দেন কিন্তু রাখেন না। চার দিনে বাদে দলের ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠান থেকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিক্রিয়া দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পাল্টা আক্রমণ না করে  করলেন কটাক্ষ। বুঝিয়ে দিলেন রাহুল তাঁর কাছে ‘বাচ্চা ছেলে'। তাই তাঁকে নেই মমতার বলার কিছু নেই। কংগ্রেস নিজেদের সভাপতিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে  দেখতে চায়। এ হেন রাহুলকে দীর্ঘ দিন ধরেই ‘পাপ্পু' বলে আক্রমণ করে আসছে বিজেপি।             

আরএসএসের অনুষ্ঠানে যাওয়া ব্যক্তি বাংলার পর্যবেক্ষক কেন, কমিশনকে প্রশ্ন সিপিএমের

একটা বড় সময় কংগ্রেসে থাকার সুবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে  গান্ধী পরিবারের সখ্যতা আছে। বিশেষ করে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী তথা ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর (UPA Chair Person) সঙ্গে  মমতার সুসম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা হয়। কিন্তু কিছুদিন আগে  একটা ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা খারাপ হয়। বিজেপি বিরোধী দল গুলির সঙ্গে বৈঠক এবং আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডাকা সভায় যোগ দিতে  দিল্লি গিয়েছিলেন মমতা। সংসদে তখন বাজেট অধিবেশন চলছে। মমতা সংসদেও যান। প্রায় একই সময় কংগ্রেস সাংসদ এবং প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরি লোকসভায় চিটফান্ড প্রসঙ্গে  সরব হন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে থাকেন। পরে দেখা হলে সোনিয়ার কাছে  এ ব্যাপারে জানতে চান মমতা। সোনিয়া বলেন রাজ্যস্তরে একে অপরকে আক্রমণ করা সম্পূর্ণ পৃথক বিষয়। তার সঙ্গে অন্য কিছুকে গুলিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।  জবাবে মমতা বলেন, "ঠিক আছে আমরাও  মনে রাখব"। সেদিন সন্ধ্যায় অবশ্য এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের বাড়িতে  মমতার সঙ্গে  রাহুলের দেখা হয়। পরে পাশাপাশি বসে সাংবাদিক সম্মেলনও  করেন  মমতা এবং রাহুল।

আদবানিজীর সঙ্গে কথা হল, যে ব্যবহার বিজেপি ওদের সঙ্গে করেছে তা দুঃখের: মমতা

এরপর লোকসভার রণনীতি নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলায় কংগ্রেস এখন একা লড়লেও একটা সময় বামেদের সঙ্গে  আসন সমঝোতা করার কথা ভাবে। কিন্তু নানা কারণে তা হয়নি।

রাজ্যে এসে রাহুল বলেন, "সিপিএমকে  সরিয়ে তৃণমূলকে এনে কোনও লাভ হয়নি। আগে  পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটা সংগঠনের কথা ভেবে চলত এখন চলে একজন ব্যক্তির জন্য"। প্রতিক্রিয়া দিয়ে মমতা  বলেন, "রাহুলের যা মনে হয়েছে  তিনি বলেছেন। আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। আর কী বা বলব রাহুল এখনও বাচ্চা ছেলে"।

.