Read in English
This Article is From Apr 17, 2019

ফিরদৌস আহমেদের ভিসা বাতিল করে 'ভারত ত্যাগ'-এর নোটিস জারি করল কেন্দ্র

Loksabha Elections 2019: ফিরদৌসকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকেও ‘কালো তালিকাভুক্ত' করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

ফিরদৌসের সঙ্গে ছিলেন পায়েল সরকার এবং অঙ্কুশ হাজরাও।

নিউ দিল্লি:

বাংলাদেশের অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদের বিরুদ্ধে ‘ভারতত্যাগ'-এর নোটিস জারি করা হল কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। এছাড়া, ব্যবসা করার জন্য এই দেশের যে ভিসা ছিল তাঁর কাছে, সেটিও বাতিল করা হল। এর কারণ কী? তার উত্তরে সামনে আসছে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা একটি অভিযোগ। সেটি হল, তিনি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর প্রচারে গিয়েছিলেন। ফিরদৌসকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকেও ‘কালো তালিকাভুক্ত' করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যার ফলে, ভবিষ্যতে তাঁর ভারতে আসার সম্ভাবনার ওপরেও প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গেল। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, “অভিবাসন দফতরের কাছ থেকে ভিসা-লঙ্ঘন সংক্রান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর বাংলাদেশি নাগরিক ফিরদৌস আহমেদের ব্যবসায়িক ভিসা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে জারি হয়েছে, “ভারত ত্যাগ'-এর নোটিসও”।

তোষণের রাজনীতি করতেই ফিরদৌসকে দিয়ে প্রচার করিয়েছে তৃণমূলঃ বাবুল সুপ্রিয়

এর আগেই ফিরদৌস আহমেদকে দিয়ে দলীয় প্রার্থীর প্রচার করিয়েছে  তৃণমূল এই অভিযোগ করেন  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোলের এই বিজেপি প্রার্থী বলেন, "তৃণমূল একজন বিদেশি নাগরিককে প্রচারের অংশ করল কেন? তিনি কোন দলকে পছন্দ করেন সেটা রাজ্যের মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া কি ঠিক? তৃণমূল কী করে ভাবল এরকম একটা কাজ করা  উচিত"। তাঁর অভিযোগ, এভাবেই প্রকাশ্যে তোষণের রাজনীতি করছে তৃণমূল। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন। কমিশনের তরফে তখন জানানো হয়েছিল যে,  বিদেশের নাগরিককে দিয়ে প্রচার করালে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয় কি না তা স্পষ্ট করে বলা নেই। তবে এক্ষেত্রে কোনও আইন ভঙ্গ হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

জাতীয় দল বলে কংগ্রেসের গর্ব করার কিছু নেই, খোঁচা মমতার

অন্যদিকে, বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার জানাল যত শীঘ্র সম্ভব তিনি যেন নিজের দেশে ফিরে আসেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর হয়ে তিনি প্রচারে গিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁকে এই কথাও বলা হয় যে, ইতিমধ্যেই নির্বাচনের প্রচার শেষ করে তিনি যেন নিজের শুটিং-এ অবিলম্বে যোগ দেন। রবিবার রায়গঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের প্রচারে তিনি যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাংলা ছবির আরও দুই অভিনেতা ও অভিনেত্রী অঙ্কুশ হাজরা এবং পায়েল সরকার। সংবাদসংস্থা আইএএনএস'কে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার জানালেন, “মিডিয়া রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আমরা ওঁকে জিজ্ঞাসা করেছি যে, তিনি ওই প্রচারে যোগ দিয়েছিলেন কি না। উনি জানিয়েছেন, ওখানে তিনি শুটিং-এর জন্য গিয়েছিলেন। তারপরই সেখান থেকে প্রচারে অংশ নেন। বিদেশি নাগরিক হয়ে অন্য দেশের ভোটের প্রচারে অংশ নেওয়া একেবারেই ঠিক নয়। আমরা ফিরদৌসকে দেশে ফিরে আসতে বলেছি”।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement
Advertisement