LokSabha Elections 2019: পর্যটন থেকে শুরু করে অন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রেকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
হাইলাইটস
- দার্জিলিঙের এবারের লড়াই গোর্খা জাত্যাভিমানের সঙ্গে উন্নয়নের
- আগের দুটি লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং বিজেপি নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছিল
- তবে এবার পাহাড়ের নির্বাচনের প্রেক্ষাপটটা কিছুটা আলাদা
কলকাতা: এবারের লোকসভা নির্বাচনে (LokSabha Elections 2019) দার্জিলিং কেন্দ্রের লড়াইটা মূলত গোর্খা জাত্যাভিমানের (Gorkha Sentiments) সঙ্গে উন্নয়নের (Development)। আগের দুটি লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং বিজেপি নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছিল। গোর্খাদের একাংশের দাবি তাঁদের জন্য আলাদা রাজ্য (Gorkhaland) তৈরি হোক। এই দাবিকে সমর্থন করে পৃথক রাজ্য গড়তে সম্মত হওয়ায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দুটি নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন করেছিল। বর্তমান সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া কেন্দ্রের মন্ত্রীও হয়েছেন। তবে এবার পাহাড়ের নির্বাচনের প্রেক্ষাপটটা কিছুটা আলাদা। বিজেপিকে সমর্থন করা একদা গোর্খা সুপ্রিমো বিমল গুরুং এখন আর আগের মতো শক্তিশালী নন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আত্মগোপন করে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে মোর্চার নেতৃত্ব গিয়েছে বিনয় তামাং এবং অনীক থাপাদের হাতে। পাশাপাশি গত কয়েক বছরে পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজ্য সরকার।
রাহুল বাচ্চা ছেলে, কংগ্রেস সভাপতির সমালোচনার জবাব এড়িয়ে মন্তব্য মমতার
পর্যটন থেকে শুরু করে অন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রেকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গোর্খা ছাড়াও পাহাড়ে যে জনজাতি গুলি আছে তাঁদের জন্য পর্ষদ গড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত কয়েক বছর ধরে বারবার পাহাড় সফরে গিয়েছেন মমতা। বুঝিয়েছেন উত্তরবঙ্গের উন্নয়নই তাঁর পাখির চোখ। শুধু তৃণমূল নয় সমতলের অন্য সমস্ত দলও মনে করে পৃথক রাজ্যের প্রয়োজন নেই।
ক্ষমতায় এলে নোটবাতিলের তদন্তের জন্য যোজন কমিশন গঠন, প্রতিশ্রুতি মমতার
এবারের নির্বাচনে রাজ্যের চারটি দল এই আসনে প্রার্থী দিয়েছে। মোর্চার প্রাক্তন বিধায়ক অমর রাইকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বিজেপির হয়ে লড়ছেন মণিপুরের গোর্খা নেতা রাজু সিং বিস্ত। সিপিএম এবং কংগ্রেসও প্রার্থী দিয়েছে। সিপিএমের হয়ে লড়ছেন প্রাক্তন সাংসদ আনন্দ পাঠকের ছেলে সমান পাঠক কংগ্রেসের প্রার্থী শঙ্কর মালাকার।
পাহাড়ের তিনটি এবং সমতলের চারটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে এই লোকসভা কেন্দ্র টি তৈরি হয়েছে। দার্জিলিং, কার্শিয়াং এবং কালিম্পং - পাহাড়ের এই তিনটি কেন্দ্রের পাশাপাশি মাটিগাড়া নকশালবাড়ি শিলিগুড়ি, ফাঁসিদেওয়া এবং চোপড়াও এই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। মোট ১৬ লাখ ভোটারের মধ্যে সাড়ে ছয় লক্ষ ভোটার আছে পাহাড়ের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে। এখান থেকেই ফলালফল নির্ধারিত হবে। বিমল গুরুং না থাকলেও তাঁর সমর্থকরা আছেন। তাঁরা সমর্থন করছে বিজেপিকে অন্যদিকে গোর্খার অন্য অংশ এ পর্যন্ত রাজ্য সরকাররে পাশে থেকেছে। বিমল গুরং প্রভাবিত অংশ এখনও আলাদা রাজ্যের কথা বলে জাত্যাভিমানকে জাগাতে চাইছে। অন্যদিকে তৃণমূল বলছে উন্নয়নের কথা। শেষ হাসি কে হাসবে তা জানা যাবে ২৩ মে।
(সংবাদ সংস্থা আইএএনএসের তথ্য সংযোজিত হয়েছে )
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)