This Article is From May 18, 2019

Elections 2019: শেষ দফায় ভোটের ময়দানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ হেভিওয়েটরা

Loksabha Elections 2019: শেষ দফায় ভোট হবে যাদবপুর সহ রাজ্যের মোট ৯ কেন্দ্রে। সবকটি আসনেই চারমুখী লড়াই হবে তৃণমূল, বিজেপি,কংগ্রেস ও বামেদের মধ্যে।

Elections 2019: শেষ দফায় ভোটের ময়দানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ হেভিওয়েটরা

ডায়মন্ডহারবারে এবার তৃণমূল প্রার্থী গতবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতা:

রবিবার লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Elections 2019) শেষ দফার ভোটগ্রহণ রাজ্যের ৯টি লোকসভা আসনে। শেষ দফায় ভোটগ্রহণ হবে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা, দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, যাদবপুর., ডায়মন্ডহারবার, জয়নগর, এবং মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে। মোট ১১১ জন প্রার্থীর ভাগ্য ইভিএম বন্দি করবেন ১,৪৯,৬৩,০৬৪ জন ভোটার। যাদবপুর ছাড়া বাকি আসনগুলিতে চারমুখী লড়াই হবে তৃণমূল, কংগ্রেস, বাম ও বিজেপির মধ্যে। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দেয় নি কংগ্রেস। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) ভাইপো তথা গতবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁকে আটকাতে বিজেপি প্রার্থী করেছে নীলাঞ্জন রায়কে। এখানে বামেদের বাজি সিপিআইএমের ফুয়াদ হালিম। সৌম্য  আইচ রায়কে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস।

মোদিকে ক্লিন চিট দেওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ অশোক লাভাসা! নির্বাচন কমিশনের বৈঠক বয়কট

যাদবপুর(Jadavpur Loksabha) কেন্দ্রে ঘাসফুল ধরে রাখতে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর বিরুদ্ধে পদ্মফুলের প্রার্থী গতবার বোলপুর কেন্দ্রে থেকে তৃণমূলের টিকিটে জেতা সাংসদ অনুপম হাজরা। বামেরা প্রার্থী করেছে কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে বাজি রেখে বসিরহাটে(Basirhat) এবারও ঘাসফুল ফোটানোর লক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেস। এখানে সায়ন্তন বসুকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। কাজি আব্দুর রহিমকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস, বামেদের বাজি সিপিআইয়ের পল্লব সেনগুপ্ত।

7th Phase: কী হয়, কী হয়! কাল শেষ দফার ভোট দেবেন এই রাজ্যের প্রায় দেড় কোটি মানুষ

দমদম লোকসভা (Dumdum Loksabha) কেন্দ্রে শমিক ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁর বিরুদ্ধে ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী গতবারের প্রার্থী সৌগত রায়। নেপালদেব ভট্টাচার্যক প্রার্থী করেছে বামেরা। কংগ্রেস প্রার্থী করেছে সৌরভ সাহাকে। বারাসাতে তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের বিরুদ্ধে মৃণানকান্তি দেবনাথকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। সুব্রত দত্তকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস, বামেদের বাজি ফরওয়ার্ড ব্লকের হরিপদ বিশ্বাস।

'৯৮ এর জোটের পরে রাজ্যে বিজেপিকে সুবিধা করে দিচ্ছে তৃণমূলই; সীতারাম ইয়েচুরি

জয়নগর লোকসভা (Jaynagar Loksabha) আসনে তৃণমূল প্রার্থী করেছে প্রতিমা মণ্ডলকে, তাঁর বিরুদ্ধে অশোক কাণ্ডারিকে ভোটের ময়দানে নামিয়েছে বিজেপি। তপন মণ্ডলকে প্রার্থী করেছে কংগ্রস, বামেদের ভরসা আরএসপির সুভাষ নস্কর। মথুরাপুর লোকসভা আসনে ঘাসফুল ধরে রাখতে চৌধুরীমোহন জাটুয়ার ওপরেই ভরসা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী করেছে শ্যামাপ্রসাদ হালদারকে। কংগ্রেসের বাজি কৃত্তিবাস সর্দার, বামেদের ভরসা সিপিআইএমের শরৎচন্দ্র হালদার।

Lok sabha Elections 2019:প্রচারের সময় কমিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে কমিশন,দাবি কেজরিওয়ালের

দক্ষিণ কলকাতা(South Kolkata Loksabha) কেন্দ্রে ঘাসফুল ধরে রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজি রেখেছেন কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়কে। তাঁকে আটকাতে নেতাজির বংশধর চন্দ্রকুমার বসুকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। বামেরা প্রার্থী করেছে সিপিআইএমের নন্দিনী মুখোপাধ্যায়কে, কংগ্রেসের বাজি মিতা চক্রবর্তী। উত্তর কলকাতা(Kolkata North Loksabha) কেন্দ্র নিজেদের দখলে রাখতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আবারও প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী দলের জাতীয় সম্পাদক তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সিপিআইএমের কণিনীকা বসুকে প্রার্থী করেছে বামেরা, কংগ্রেসের বাজি সইদ সাহিদ ইমাম।

গোলমালের পরেই প্রচার পক্রিয়া বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন রাজ্যের দুই পর্যবেক্ষক

নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ১৭,০৪২টি বুথে মোতায়েন করা হবে ৭১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। শেষ দফার ভোটের প্রচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ,কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট, এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটপ্রচারের সময় থাকলেও, তা কমিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার মধ্যে সমস্ত দলকে প্রচার শেষ করার নির্দেশ জারি করে কমিশন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতায় অমিত শাহের রোড শো এবং তারপর অশান্তি ও বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙাকে কেন্দ্র  করে অশান্তির পর সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রচারের সময়সীমা কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

.