লোকসভা নির্বাচনের আবহে(Loksabha Elections 2019) কলকাতায় বিদ্যাসাগর মূর্তি ভাঙা রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার অভিযোগ তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়( Mamata Banerjee)। বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। বিধবা বিবাহের প্রচলন থেকে শুরু করে নারী শিক্ষার প্রচারে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এহেন একজন মনীষীর মূ্র্তি ভাঙার ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে অন্য মোড় নিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) অভিযোগ, বাংলার বাইরের গুণ্ডা, যাদের বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা নেই, তারাই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙতে (Vidyasagar statue vandalise) পারে। বিজেপির অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Elections 2019) শেষ দফার ভোটগ্রহণের আবহে তাদের দলের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, এই ধরণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তিনি লেখেন, “ত্রিপুরায় ২০১৮-এ ক্ষমতায় এসে বহুদিনের পুরানো মূর্তি ভেঙে দেয় তারা। এটা ছিল পরিকল্পনামাফিক, বিজেপি বুলডোজার এনেছিল”।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়( Mamata Banerjee) লেখেন, “সংবিধানের প্রণেতা এবং দলিতদের নেতা বিআর আম্বেদকরের উত্তরপ্রদেশের মেরঠের মূর্তি ভাঙা হয় বিজেপির নেতৃত্বে। ভেলোরে পেরিয়ারের মূর্তিও ওই দলেরই এক কর্মী ভাঙে বলে সন্দেহ”। তিনি আরও লেখেন, “২০১৮ মার্চে সংসদে প্রথম মূর্তি ভাঙার বিষয়টি ওঠে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দুজন পরামর্শদাতা নিয়োগ করার কথা ছিল”।
Lok Sabha Elections 2019:আপনার থেকে মূর্তির টাকা নেওয়ার চেয়ে গলায় দড়ি দেওয়া ভাল, মোদীকে কটাক্ষ মমতার
দিনভর বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে মূর্তি ভাঙাকে কেন্দ্র করে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপ চলতে থাকে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মূর্তি ভাঙার অভিযোগ তুলে রাজ্যে পঞ্চধাতু নিয়ে বিদ্যাসাগরের মূর্তি তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়( Mamata Banerjee), পাশাপাশি বলেন, পাঁচ বছরের শাসনকালে ভগবান রামচন্দ্রের একটি ছোটো মন্দিরও তৈরি করতে পারে নি এই সরকার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়( Mamata Banerjee) আরও বলেন, বাংলা ভিক্ষা নেবে না, তাদের কাছে যথেষ্ঠ অর্থ আছে, যা দিয়ে মূর্তি বানানো যায়। গত সপ্তাহে রাজ্যকে “কাঙাল বাংলা” বলে মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। পাশাপাশি রাজ্যের অর্থনৈতিক সঙ্কটের অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে বিঁধেছিলেন তিনি।