তৃণমূল সরকারকে কমিউনিস্ট পার্ট টু বলে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ময়নাগুড়ির সভা থেকে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বলেন কমিউনিস্টদের অপশাসনের অবসানের জন্য এখানকার ভোটাররা দিদিকে বিশ্বাস করেছিলেন কিন্তু কিছুই হয়নি। এরপর উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন প্রশ্নে সরব হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "একটু আগে ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে জাতীয় সড়কের উদ্বোধন হল। রাস্তা তৈরি হলে জীবন সহজ হয়ে আসবে। কলকাতায় যাওয়া সূবিধা জনক হবে। একই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে উদ্বোধন হয়েছে। এখন আর কলকাতা যেতে হবে না । আইনজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে। মানুষের জন্য আমরা ছাড়া অন্য কেউ ভাবে না। ২০ বছর ধরে সার্কিট বেঞ্চের ব্যাপারটা পড়েছিল। হাইকোর্ট বারবার চিঠি লিখেছে কিন্তু রাজ্য সরকার কিছু করেনি"। জেনে রাখুন বিজেপি ক্ষমতায় না এলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সমস্যা মিটত না।
কেন্দ্র পদক কাড়তে এলে ওই ৫ জন পুলিশ অফিসারকে 'বঙ্গবিভূষণ' দেব আমি, বললেন মমতা
প্রধানমন্ত্রীর দাবি রাজ্যের সরকার বাংলা মাকে বদনাম করেছে বলে। তাঁর কথায় তৃণমূল কমিউনিস্ট পার্ট টু । অন্য একটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেন্দ্রের সরকার উন্নয়নের বিশ্বাস করে বলেই বন্ধ চা বাগান খোলা হচ্ছে। গত বাজেটে শ্রমিকদের জন্য একাধিক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর। "আমাদের সরকার গরিবদের এমন সমস্ত সুবিধা দিচ্ছে যা আগে তাঁরা ভাবতে পারতই না। গরিবদের জন্য ২ লাখ টাকা বিমার ব্যবস্থা করা হয়েছে, বিপদের সময় এই টাকা কাজে লাগবে,। এখনও পযন্ত ৩১ কোটি গরিব এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে" ।
তাঁর অভিযোগ মা মাটি মানুষের নামে তৈরি সরকার খুনের রাজনীতি করছে। দিদি মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু দাদাগিরি করছে অন্য কেউ। দিদি দিল্লি যেতে চাইছেন কিন্তু মধ্যবিত্তদের সিন্ডিকেট রাজের হাতে ছেড়ে রেখেছেন। ত্রিপুরায় লাল পতাকা উড়ত। আমাদেরে কর্মীরা লাল পতাকাকে অস্তমিত করেছে। এখন ওই রাজ্যে নতুন সূর্যর উদয় হয়েছে। ত্রিপুরায় যা হয়েছে তা বাংলাতেও হবে ।
সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, দেশে এই প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতিতে জড়িতদের হয়ে ধর্না দিলেন । মহাত্মা গান্ধী সত্যাগ্রহ করেছিলেন। নেতাজি বাইরে থেকে দেশকে স্বাধীন করার চেষ্টা করেছিলেন। আর মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতিতে জড়িতদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চায় উনি দুর্নীতিতে জড়িতদের সাহায্য করেন কেন? আমি আপনাদের চৌকিদার বলে যাচ্ছি দুর্নীতিতে জড়িত বা যারা তাঁদের মদত করেছে তাঁদের ছাড়া হবে না। যারা দুর্নীতিদের জড়িতদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন তাঁরাও রেহাই পাবেন না। দুর্নীতি থেকে বাঁচতে মহাজোট তৈরি হয়েছে। সত্যি কথা বললেই মহাজোটের নেতারা চিৎকার করেন। এঁদের মধ্যে নীতি বলে কিছু নেই। এখানে প্রদেশ কংগ্রেস বলে তৃণমূলের আমলে অপশাসন চলছে আর দিল্লিতে মিস্টার বঢরার শ্যালক দিদির পাশে থাকেন।
এর পাশাপাশি তোষণের রাজনীতি প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করে মোদী বলেন ওরা কোথায় নামতে পারে তা কাল দেখা হয়ে গিয়েছে। কাল ওরা বলেছে ক্ষমতায় এলে তিন তালাক আইন বাতিল করবে। ওরা সুপ্রিম কোর্টের রায়কেও গুরুত্ব দেয় না। একই সঙ্গে তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, তিন তালাক আইন পাশ করার ক্ষেত্রে তৃণমূল বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কেন? মুখ্যমন্ত্রীকে বলছি আপনি একজন মহিলা অথচ আপনার দল তিন তালাক আইনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে? এটা কেন হচ্ছে সেটা আপনার থেকে জানতে চাই। ওরা যাই বলুক মুসলিম মহিলাদের বলছি ভায় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।
মোদী বলেন, ছোটবেলায় ভাবতাম বাং;লার মাটিতে কী এমন শক্তি আছে যে এখানে নেতাজির জন্ম হয়েছে। এখানকার মানুষ বিদেশীদের সঙ্গে লড়ে কী ভাবে লড়ে? আজ আপনাদের বুঝলাম বাংলার মাটির এমন শক্তি আছে যে দিদির অত্যাচারের পরও কেউ ভয় পায় না। এটাই বাংলার শক্তি। এখান থেকেই বোঝা হয়ে গিয়েছে দিদির সরকার আর থাকবে না।