রাহুল গান্ধী বলেন, সাফল্যের সঙ্গে কংগ্রেস এটা বোঝাতে পেরেছে যে দু্র্নীতিকে প্রশয় দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
নিউ দিল্লি: ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আবহে প্রথমবার কোনও টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। NDTV কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, দু্র্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মসিহা, তা ভেহে গেছে। রাফায়েল চুক্তিকে কেন তিনি দুর্নীতি হিসেবে দেখছেন, উত্তরপ্রদেশে তাঁর দলের কৌশল কী, বা দলের অ্যাজেন্ডাই বা কী, সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “একমঞ্চে মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী সেই কথাগুলি বলেন না, যেগুলি তিনি ২০১৪ এ বলতেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে টলিয়ে দিয়েছি”।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে গিয়ে “চৌকিদার চোর” স্লোগানে অটুট থাকেন রাহুল গান্ধী, বলেন, এমনকী, সুপ্রিম কোর্টের মুখে শব্দটি বসানো তাঁর ভুল হলেও ক্ষমা চাইবেন না তিনি। চলতি সপ্তাহের প্রথমার্ধে, তিনি সুপ্রিম কোর্টকে বলেন, আদালতের একটি নির্দেশ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে “চৌকিদার চোর হ্যায়” স্লোগানটি শীর্ষ আদালতের ওপর মিথ্যা আরোপ করার জন্য ক্ষমা চাইবেন তিনি।
ভীষণ বিশৃঙ্খল হয়ে পড়তে পারি আমরা (কংগ্রেস), এনডিটিভিকে বললেন রাহুল
NDTV কে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে কোনও ক্ষমা চাওয়া নয়। আমি সত্যিই একটা ভুল করেছি, এটা বলে, যে এটা সুপ্রিম কোর্ট বলেছে। চৌকিদার চোর হ্যায় বলার জন্য আমি ক্ষমা চাইব না”।
তিনি দাবি করেন, রাফাল নিয়ে অভিযোগ বড় আকার ধারণ করেছে দেশজুড়ে।তিনি বলেন, “জনসভায় আমি শুধু বলেছিল চৌকিদার...”, বিভিন্ন জনসভায় তাঁর চৌকিদার বলা এবং উপস্থিত জনগণের চোর বলার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, সাফল্যের সঙ্গে কংগ্রেস তুলে ধরতে পেরেছে দুর্নীতিকে প্রশয় দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
"মোদীকে অপমান করতে গেলে আমিই থামিয়ে দিই", বিতর্কিত ভিডিও নিয়ে বললেন প্রিয়াঙ্কা
পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, “শুরুতে আমরা রাফাল সম্পর্কে ২০ শতাংশ জানতাম।আমাদের সদস্যরা দেখিয়েছেন, এখন ভারতের ৬৭ শতাংশই জানেন রাফাল একটি কেলেঙ্কারি। একটা যৌথ সংসদীয় কমিটি করা হোক। দুর্নীতি প্রতিষ্ঠা করা হবে”।
লোকসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফার পর তাঁর দল ভাল করেছে বলে দাবি করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, “বিজেপি জিতছে না, এটা পরিস্কার।নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন না গ্যারান্টি। দেশে প্রচুর বেকারত্ত্ব রয়েছে। কৃষকদের অসন্তোষ রয়েছে, দেশে কৃষকরা আত্মহত্যা করছেন”।
বিজেপিকে সাহায্য করার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভাল: প্রিয়াঙ্কা
কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “ভারতে নির্বাচনের প্রাথমিক ইস্যু হল চাকরি, চাকরি চাকরি। এবং অর্থনীতি। এটা দুঃখের, যে এই বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলেন না প্রধানমন্ত্রী। আমরা তাঁকে চেপে ধরেছি, এবং তিনি কথা বলতে পারছেন না”।