একের পর এক টুইট করে মোদীকে আক্রমণ বলিউডের 'বিশ্বনাথ'-এর
নিউ দিল্লি: মঙ্গলবারই নিজেদের ইস্তেহার প্রকাশ করল কংগ্রেস। ইস্তেহার প্রকাশ করার পর পরই কংগ্রেসে সদ্য যোগ দেওয়া অভিনেতা-রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহা একাধিক টুইট করেন পরপর। যে টুইটগুলিতে প্রবলভাবে আক্রমণ করেন তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। ওই টুইটগুলিতে তিনি মোদীকে 'অনারেবল আউটগোয়িং স্যারজি' বা' মাননীয় বিদায়ী স্যারজি' বলে সম্বোধন করেন। শত্রুঘ্ন সিনহার মঙ্গলবারের টুইটগুলির মূল লক্ষ্য ছিল, মোদীর সাম্প্রতিক কিছু বক্তৃতা। যেগুলি এই বিক্ষুব্ধ বিজেপি সাংসদের মতে, বিষয়হীন এবং গভীরতাহীন। শুধু তাই নয়। তিনি মোদীর বক্তৃতাকে 'প্রবলভাবে পুনরাবৃত্তির দোষে দুষ্ট এবং বিরক্তিকর'-ও বলেন।
"স্যারজি, আপনার প্রবল ঔদ্ধত্য এবং ইভিএমের অপব্যবহার সত্ত্বেও আমি এখনও আপনার শুভানুধ্যায়ী। নির্বাচন শুরু আর কয়েকদিন। নির্বাচনের আগের একেবারে শেষ মুহূর্তে আমার আপনার কাছে অনুরোধ, দয়া করে সোজাপথে চলুন", টুইট করেন শত্রুঘ্ন সিনহা। গত সপ্তাহেই তিনি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, শেষ দু'বছর ধরেই বিজেপির বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। সরাসরি নাম করেই আক্রমণ করেছেন বিজেপির এক নম্বর ও দু'নম্বর কাণ্ডারী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকেও। শেষ কয়েকমাসে টুইটারে বিজেপিকে আক্রমণ করার সংখ্যাটি আরও বাড়িয়ে দেন তিনি।
ঋণ খেলাপী কৃষককে জেলে যেতে হবে না ইস্তেহারে প্রকাশ করে দাবি কংগ্রেসের
যদিও, ৭২ বছরের এই অভিনেতার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাগ্রহণ না করে তাঁকে অগ্রাহ্য করার পথেই এগিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এমনকি, যে পাটনা সাহিব লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে তিনি সাংসদ হয়েছিলেন তিনি, সেখানেও এবারে তাঁকে আর দাঁড় করায়নি গেরুয়া শিবির। তাঁর স্থানে ওই কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)