পার্থ ব্যঙ্গের সুরে আরও বলেন, ওদের তো সব কেন্দ্রে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত প্রার্থীই নেই। (ছবি প্রতীকী)
কলকাতা: বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি বা নাগরিক তথ্যপঞ্জির তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করবেন। সেই দাবিকে খণ্ডন করে তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্যের শাসকদলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে মানুষে মানুষে বিদ্বেষ ও বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে। আমরা তা করতে দেব না। বাংলায় এনআরসিকে কিছুতেই চালু করতে দেব না আমরা। এটুকু নিশ্চয়তা আমি এই বাংলার সকল মানুষকে দিয়ে রাখছি”। প্রসঙ্গত, তাঁর আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে অমিত শাহ বলেন, “আমরা ক্ষমতায় এলে বাংলাতেও এনআরসি চালু করে সমস্ত অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াব। আর, হিন্দু উদ্বাস্তুদের গায়ে যাতে হাত না পড়ে, তার দিকেও নজর রাখব আমরা। তারা আমাদের দেশেরই অংশ”।
মমতাদি আপনার সময় শেষ, বাংলার এবার পদ্ম ফুল ফুটবেইঃ অমিত
গত বছরই অসমে এনআরসি'র তালিকা প্রকাশ করেছিল বিজেপি। যার ফলে এক ধাক্কায় বাদ পড়ে গিয়েছিল ৪০ লক্ষ মানুষের নাম। প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক যাঁরা, কেবলমাত্র তাঁরাই জায়গা পাবেন এনআরসি'র তালিকায়, এমন কথাই জানানো হয়েছিল অসম সরকারের পক্ষ থেকে। যদিও, চূড়ান্ত তালিকাটি প্রকাশ হওয়ার পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী ভোটগুলি এক জায়গায় না পড়াটা অসুবিধাজনক: সূর্যকান্ত মিশ্র
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করছি। পারলে ওরা বাংলা থেকে একটা আসনে জিতে দেখাক। আমি আপনাদের সকলকে বলছি যে, ভয় পাবেন না। বিজেপি এই রাজ্যে তো একটা আসনেও জিতবে না, এমনকি, কেন্দ্রেও আর ক্ষমতায় ফিরবে না ওরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কুর্সি থেকে নামানোর জন্য মনস্থির করে ফেলেছেন বাংলা তথা দেশের সমস্ত মানুষ”।
বিজেপি রামের নাম ভোটে লড়ে কিন্তু রাম মন্দির নির্মাণ করে নাঃ মমতা
তিনি ব্যঙ্গের সুরে আরও বলেন, “ওদের তো সব কেন্দ্রে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত প্রার্থীই নেই। আর ওরা ওদিকে বলছে বাংলায় নাকি সবথেকে বেশি আসন পাবে! আসল কথা তো বলবে মানুষ। ওরা তো ভয় পাচ্ছে। তাই এইসব বলছে। পুরো চিত্রটা ২৩ মে'তে পরিষ্কার হয়ে যাবে সকলের কাছে”।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)