এআইসিসির বৈঠকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পরের আসনেই বসেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
হাইলাইটস
- জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পরের আসনেই বসেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
- দলের তরফে এটা তুলে ধরা, যে অন্যান্যদের মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ তিনি
- উত্তরপ্রদেশের ৮০ টির মধ্যে ৪৪ টির দায়িত্বে প্রিয়াঙ্কা
নিউ দিল্লি: বৃহস্পতিবার অখিল ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সদস্যদের সঙ্গে প্রথমবার বৈঠক করেন প্রিয়াঙ্গা গান্ধী বঢ়রা, তবে এদিনের বৈঠকে দূরত্ব রেখে চললেন তিনি। বৈঠকে উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পাশের আসনে বসেন তিনি।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতামতের প্রক্ষিতে সংবাদসংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, একটি সঙ্গত কারণেই, দাদা রাহুল গান্ধীর থেকে একটি আসন পরে তিনি বসবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইসিসির অন্যান্য সাধারণ সম্পাদকদের মতোই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও সমান গুরুত্বপূর্ণ বোঝাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাফালের প্রসঙ্গ তুললেন প্রধানমন্ত্রী, বললেন, শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী চায় না কংগ্রেস
২৩ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢ়রা, সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের ৮০ টি লোকসভা কেন্দ্রের ৪৪ টির দায়িত্বে সামলাবেন তিনি, বাকি আসনগুলির দায়িত্বে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।সোমবার থেকে তাঁরা দুজনেই, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে রোড শো করতে চলেছেন।সূত্রের খবর, প্রথম তিনদিন লখনউতে যাবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সেখানে কার্যালয় তৈরি এবং স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন,তারপর এলাহাবাদের মতো বড় শহরগুলি ছুঁয়ে রোড শো করবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
রাফাল চুক্তিঃ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, দাবি রিপোর্টের
এর আগে অখিল ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির অফিসে রাহুল গান্ধীর পরের ঘরটি বরাদ্দ করা হয় রাহুল গান্ধীর জন্য।কোনও জল্পনা যাতে না ছড়ায়, তার জন্য সেই ঘরেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার আসন বরাদ্দ করা হয়, পাশাপাশি তাঁরা দুজনেকই দলের হাইকম্যান্ডের কাছে যে সমান গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানো হয় দুজনেই একই ঘরে আসন বরাদ্দ করে।
গতকাল প্রায় ১৫ মিনিট আইসিসির ঘরে ছিলেন প্রিয়াঙ্গা গান্ধী, সেই সময় দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, এমনকী, ভিড় সামাল দিতে হিমসিম খান নিরাপত্তাকর্মীরা।দলীয় কর্মীরা তাঁকে ঘিরে শ্লোগান দিতে থাকেন, “প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আয়া হ্যায়, নয়া রোশনি লায়া হ্যায়”(প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এসেছেন, নতুন আলো নিয়ে এসেছেন)।
লোকসভায় ধন্যবাদজ্ঞাপন ভাষণ, বিরোধী জোটকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর
স্বাভাবিকভাবেই প্রিয়াঙ্কার আগমণকে ততটা গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি।উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার বিধায়ক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে “রাবণ” এবং “বোন” প্রিয়াঙ্কাকে সূর্পণখা বলে মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে,কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, ভাল নেতার অভাবে লোকসভা নির্বাচনে “সুন্দর মুখ” নিয়ে আসছে কংগ্রেস। অপর এক নেতা বিনোদ নারায়ণ ঝা দাবি করেন, “সৌন্দর্য” ছাড়া আর কোনও গুণ নেই প্রিয়াঙ্কার।
তবে তাতেও হতোদ্যম নয় কংগ্রেস। পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অরিন্দর সিং, দলের সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী একটি দারুণ দল তৈরি করবেন,লোকসভা ভোটে যা ধুয়ে মুছে ফেলবে মোদী সরকারকে।