লোকসভা নির্বাচন ২০১৯: অবৈধ জমি কারবারের অভিযোগ রয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে
হাইলাইটস
- উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাকে
- স্বামী রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে অবৈধ জমি কারবারের অভিযোগে সরব বিজেপি
- সুশীল মোদীর দাবি, বিজেপিকে সাহায্য করতেই প্রিয়াঙ্কার আবির্ভাব
পটনা: সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশের একদিন পরেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “ কলঙ্কিত পুরুষের জীবনসঙ্গী মহিলা”র প্রবেশ নিয়ে উল্লশিত কংগ্রেস।
ট্যুইট করে প্রিয়াঙ্গার সঙ্গে তাঁর ঠাকুরমা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মিল থাকা নিয়েও কটাক্ষ করেন এই বিজেপি নেতা।
সুশীল মোদী আরও বলেন, “শুধুমাত্র একজনের সঙ্গে সাদৃশ্য থাকাই যোগত্যা ধরা হয়, তাহলে আমাদের আরও অনেক অমিতাভ বচ্চন, বিরাট কোহলি রয়েছেন। রাজনীতিতে বিকল্প কাজ করে না, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ইন্দিরা গান্ধীর মিল থাকতে পারে, কিন্তু দুজনের মধ্যে অনেক পার্থক্য”।
রাহুল একা সামলাতে পারছেন না বলেই বোনের সাহায্য প্রয়োজন হচ্ছেঃ স্পিকার
প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরাকে নিয়ে বলতে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর স্বামী ফিরোজ গান্ধীর প্রসঙ্গও তুলে ধরেন সুশীল মোদী।
ফিরোজ গান্ধী প্রসঙ্গে সুশীল মোদী বলেন, তিনি ছিলেন একজন সুবক্তা এবং দৃঢ়চেতা সাংসদ, “যিনি প্রভাবশালী শ্বশুর জহরলাল নেহেরুর বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষমতা রাখতেন”।
মোদী আরও বলেন, “প্রিয়াঙ্কার ব্যবসায়ী জীবনসঙ্গীর অবৈধ জমি কারবার দুই রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে। তা নিয়ে তিনি সমস্যাতেও ভুগছেন, একজন কলঙ্কিত পুরুষের জীবনসঙ্গী মহিলাকে নিয়ে কংগ্রেস যদি উল্লাশ করে, তাহলে করুক”।
বারাণসীতে মোদীর বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কাকে প্রার্থী করতে চেয়ে পোস্টার দিলেন কংগ্রেস কর্মীরা
এর আগে পটনায় একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কার রাজনীতিতে আসা নিয়ে তিনি বলেন, “সপা-বসপার জোটকে বিপদে ফেলতেই কংগ্রেসে নামা প্রিয়াঙ্কার”।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর হাত ধরে বুধবার রাজনীতির ময়দানে আবির্ভাব হয় প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার। তাঁকে উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
রাহুল ব্যর্থ বলে প্রয়োজন অবলম্বন, প্রিয়াঙ্কার সক্রিয় রাজনীতিতে আসা নিয়ে খোঁচা বিজেপির
মোদী বলেন, প্রিয়াঙ্কার রাজনীতিতে নামা তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ “কেন্দ্রবিন্দু”তে চলে আসতে পারে, যার ফলে লাভবান হবে এনডিএ।
তিনি আরও বলেন, “বিজেপি আদৌ শঙ্কিত নয়, হবে না কেন, যখন তাঁর আবির্ভাবই হয়েছে আমাদের সাহায্য করতে। সপা-বসপা জোটকে বিপদে ফেলা এবং তাদের ভোট ভাগ করার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রিয়াঙ্কাকে নামিয়েছে কংগ্রেস, মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদবকে তাঁদের কৌশল নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার জন্য একটি একটি সাহসী পদক্ষেপ”।