हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Mar 29, 2019

নীরব মোদীর জামিনের আবেদন দ্বিতীয়বার খারিজ করল লন্ডনের আদালত

আদালতে ভারত সরকারের হয়ে যে আইনজীবী ছিলেন, তিনি জানান, গ্রেফতারি এড়ানোর জন্য নীরব মোদী এই মামলার এক সাক্ষীকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন এবং আরেকজনকে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া (with inputs from Agencies)

এই নিয়ে দ্বিতীয়বার খারিজ হল নীরব মোদীর জামিনের আবেদন।

লন্ডন, নিউ দিল্লি:

শুক্রবার ফের নীরব মোদীর জামিনের আবেদন নাকচ করে দিল লন্ডনের আদালত। চিফ ম্যাজিস্ট্রেট এমা আর্বাথনোট বলেন, নীরব মোদী যেভাবে প্রশান্ত মহাসাগরের একটি ছোট্ট দ্বীপ ভানুয়াতু'র নাগরিকত্ব গ্রহণ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলেন, তার থেকে স্পষ্ট যে তিনি ভারত ছেড়ে পালিয়ে একটি ‘নিরাপদ' দূরত্বে গিয়ে থাকার চেষ্টা করছিলেন। তিনি বলেন, “এই কথা বিশ্বাস করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, নীরব মোদী আত্মসমর্পণ করবেন না। তিনি তা করার কথা ভাবেননওনি”। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে আরেক পলাতক ধনকুবের বিজয় মালিয়ার প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত রায়টিও দেন এমা আর্বাথনোটই। গত সপ্তাহে গ্রেফতার হওয়ার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নাকচ হয়ে গেল নীরব মোদীর জামিনের আবেদন।

গত বুধবার থেকে যেখানে ছিলেন, সেই দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ জেলেই ফের ফিরে যেতে হল তাঁকে। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৬ এপ্রিল। ওই দিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে উপস্থিত থাকবেন নীরব মোদী। ততদিন পর্যন্ত তাঁর আশ্রয়স্থল জেলই।

আদালতে ভারত সরকারের হয়ে যে আইনজীবী ছিলেন, তিনি জানান, গ্রেফতারি এড়ানোর জন্য নীরব মোদী এই মামলার এক সাক্ষীকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন এবং আরেকজনকে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন।

Advertisement

তিনি আরও বলেন যে, নীরব মোদীকে জামিন দিলেই যখন তখন পালিয়ে যেতে পারেন তিনি। “নীরব মোদী জামিন পেলেই এই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন। শুধু তাই নয়, সাক্ষীদের প্রাণ সংশয়ের কারণও হয়ে উঠতে পারেন”, বলেন ওই আইনজীবী।

যদিও, সেই কথা অস্বীকার করে নীরব মোদীর আইনজীবী বলেন যে, তাঁর মক্কেলের লন্ডনে ভাড়ায় নেওয়া বাড়ি রয়েছে। নিজের নামে। এছাড়া, ২০ মার্চ গ্রেফতার হওয়ার ঠিক আগে নিজের আসল নামেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন নীরব মোদী।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ৪৮ বছর বয়সী এই ধনকুবের ব্যবসায়ীকে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড গ্রেফতার করার পর যে প্রথম শুনানি হয়, সেখানে তাঁর জামিন নাকচ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি ম্যারি ম্যালন।

এবারেও তার অন্যথা হল না।

Advertisement