আরও বলা হয় তিনি বিমানের পক্ষে বিপদজনক নন।
নিউ দিল্লি: দেশ ছাড়ার আগে বিমান বন্দরে দেখা মাত্রই বিজয় মালিকাকে আটক করার নির্দেশ ছিল। এই মর্মে লুক আউট নোটিশও জারি হয়েছিল। কিন্তু সেটি কার্যকর হয়নি। সিবিআই জানিয়েছে 2015 সালের 16 অক্টোবর জারি হয় ওই নোটিশ।
কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পর বয়ান বদলে যায়। সেখানে বলা হয় মালিয়া বিমানবন্দরে পৌঁছলে নির্দিষ্ট স্থানে খবর পৌঁছে দিতে হবে। আরও বলা হয় তাঁকে বিমানে চড়তে না দেওয়ায়র কোনও কারণ নেই জানা গিয়েছে সে সময় মাঝে ইংল্যান্ডে যেতেন হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ বাকি রাখা মালিয়া। শুধু তাই নয় এক সময় বলা হয় প্রথম নোটিশটি ভুলবশত জারি হয়েছিল।
মালিয়ার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে 2015 সালের জুলাই মাসের শেষে লুকআউট নোটিশ জারি করে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় শুরু হয়েছিল মাত্র। কিন্তু কোনও ব্যাঙ্ক সরকারি ভাবে অভিযোগ জানানোর পথে হাঁটেনি। সে সময় লন্ডনে ছিলেন মালিয়া। ফিরে আসার পর নোটিশের বয়ান লঘু করা হয়। আর এর কিছু দিন পর ডিসেম্বর মাসের 1 তারিখ দেশ ছাড়েন তিনি। এখানেই জানা গিয়েছে দেশে ফেরার আগের দিন অভিভাবসন দপ্তর থেকে জানতে চাওয়া হয় মালিয়াকে আটক করা হবে কিনা। তখনই নোটিশের বয়ান বদলে যায়। এরপর আরও কয়েকবার লন্ডনে গিয়েছেন তিনি।
সূত্র বলছে 2016 সালের ফেব্রুয়ারি মাসের 2, তারিখ ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফেরেন তিনি। শেষমেশ মার্চ মাসের 2. তারিখ আবারও দেশ ছাড়েন। কিন্তু এরপর আর ফেরেননি। এ ব্যাপারে আবারও সুর চড়িয়েছে বিরোধী দলগুলি। সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানান আরও একবার স্পষ্ট হল কীভাবে মোদী সরকার দেশের সাধারণ মানুষের টাকা লুট হতে দেয়।