গুণ্ডিচায় মামার বাড়ির আদর খেয়ে বুধবার ভগবান জগন্নাথ (Lord Jagannath), বলরাম, সুভদ্রা ফিরলেন আবার নিজের বাড়িতে। তবে এবার উল্টোরথের (Ulto Rath) দিনেও পথঘাট ভক্তশূন্য দেখে হয়তো ফের মন খারাপ হয়ে গেল তাদের! ভগবানেরও কি মনখারাপ হয়? জানা নেই এপ্রশ্নের উত্তর। তবে এবার করোনা দৈত্যের দাপটে রথের (Rath Yatra) আনন্দ যে একেবারে মাটি হয়ে গেল তা বলাই বাহুল্য। শুধু পুরীর রথই নয়, ইস্কনের পরিচালনায় মায়াপুরের রথযাত্রা বা হুগলির বিখ্যাত মাহেশের রথযাত্রা, সব জায়গাতেই সেই একই দৃশ্য। ভগবান ফিরছেন, চলছে তাঁর রথ, কিন্তু তাঁদের প্রণাম জানানোর জন্যে নেই ভক্তের ভিড়। করোনা ভাইরাস নামক একটি মারণ রোগই যেন সব চেনা ছবিকেই হঠাৎ করে বদলে দিয়েছে। যার জন্যে ভগবান জগন্নাথও আজ ভাইবোনেদের সঙ্গে নিয়েও যেন একা।
করোনা আক্রান্ত সন্দেহে শেষকৃত্যে নারাজ, পচন রুখতে আইসক্রিম রাখার বাক্সে রাখতে হল দেহ
ইস্কন মায়াপুরের মুখপাত্র সুব্রত দাস বলেন, এবার আর রথযাত্রা উপলক্ষে রাস্তায় লাখ দুয়েক মানুষের ভিড় ছিল না। এবারের রথযাত্রা ও উল্টোরথ, দুটোতেই অংশ নিয়েছেন কেবল মন্দিরের যাজক ও কিছু আবাসিক ভক্তরা। তিনিই জানালেন, ৩০ টি দেশের ৪০ জন আবাসিক ভক্তরা মিলে রঙিন ফুল ও নানা ছবি এঁকে রথ সাজান। নিয়মমাখিক তৈরি করা হয় ''ছাপান্ন ভোগ''ও । মায়াপুরে ভগবান জগন্নাথের মামাবাড়ি গুণ্ডিচার একটি অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করা হয় মন্দির কমপ্লেক্সেই। সেখান থেকেই মূল মন্দিরে ফিরলেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। তবে এই উল্টোরথের সরাসরি সম্প্রচার হয় বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, বিশ্বের প্রায় এক মিলিয়ন ভক্ত ঘরে বসেই দেখেন মামাবাড়ি থেকে ভগবানের ঘরে ফেরার দৃশ্য।
"মানুষকে বিপদে ফেলছে আপনার আচরণ", মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি বিজেপি নেতার
এদিকে ইস্কন কলকাতাতেও উল্টোরথের এক অনাড়ম্বর আয়োজন করা হয় বুধবার। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন তৃণমূল সাংসদ নূসরত জাহান ও তাঁর স্বামী। মন্দির চত্বরেই প্রতীকীভাবে তিনটি ছোট ছোট রথ টানা হয়। গোটা অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় ইসকন কলকাতার ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেল।
হুগলিতে ৬২৪ বছরের পুরনো মাহেশের রথযাত্রও পালন করা হয় নমো নমো করে। প্রতিবারের মতো এবারে ছিল না ভক্ত সমাগম। জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার প্রতিনিধিত্বকারী তিনটি শালগ্রাম শিলাকেই প্রতীকী গুণ্ডিচা মন্দির থেকে মূল মন্দিরে ফিরিয়ে আনা হয় বুধবার। করোনা ভাইরাস এবারের রথযাত্রাকে একেবারে বিবর্ণ করে দিয়েছে বলেই মনে করেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)