২০১৩ সালে সাম্প্রতিক বীভৎসতম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে কেদারনাথ
আলিগড়: ২০১৩ সাল। প্রকৃতির এমন প্রতিশোধ বোধহয় দেখেনি গোটা বিশ্ব। এক নিমেষে কেদারনাথকে প্রায় শেষ করে দিয়েছিল এই বিপর্যয়। তবে বিপর্যয়ের শেষে একদিন যেমন ঠিক শান্ত হয়ে যায় সব, ছন্দ ফিরে পায় জীবন, তেমনই পরিবার ফিরে পেল ১৭ বছরের এক মানসিক প্রতিবন্ধী যুবতী। ৫ বছর আগে বিপর্যয়ে হারিয়ে গিয়েও আবার ফের ঘরে ফেরার গান শুনতে পেয়েছে আলিগড়ের চঞ্চল। এতবছর পরে চঞ্চলকে ফিরে পাওয়ার ঘটনায় তাঁর দাদু ও দিদা বন্নাদেবী এলাকার বাসিন্দা হরিশ চন্দ ও শকুন্তলা দেবী বলেন, "এই পুনর্মিলনটি অলৌকিক ঘটনার থেকে কিছুই কম নয়।"
বাবা মায়ের সঙ্গেই ওই বছর কেদারনাথে তীর্থযাত্রায় পাড়ি দিয়েছিল ছোট্ট চঞ্চল। হরিশ চন্দ সোমবার সাংবাদিকদের জানান, কেদারনাথের ওই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভেসে যান চঞ্চলের বাবা। তাঁর মা কিছুদিন পর বাড়ি ফিরে আসেন। হারিয়ে যায় চঞ্চল। ভালো করে কথাও বলতে না পারায় বাড়ি ফেরার পথ আবছা হতে থাকে কেবল তাঁর কাছে।
আন্দামানে নেতাজির নামে দ্বীপ, রবিবার ঘোষণা করেবেন প্রধানমন্ত্রী
চঞ্চলের তখন বয়স ছিল ১২। এই ভয়ানক দুর্যোগের পরে অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন চঞ্চল বোধহয় মারাই গিয়েছে। কিছু বেশ কিছু শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সাহায্যে সে জম্মুতে একটি অনাথ আশ্রমে পৌঁছে যায়। এনজিও চাইল্ডলাইন আলিগড়ের পরিচালক জ্ঞানেন্দ্র মিশ্র চঞ্চলকে আবার তাঁর বাড়িতে ফিরিয়ে দিতে বড় ভূমিকা পালন করেন।
জ্ঞানেন্দ্র মিশ্র জানান, গত কয়েক মাস ধরেই অনাথ আশ্রমের কর্তৃপক্ষ লক্ষ করছিলেন যে মেয়েটি প্রায়ই তাঁর সীমিত মৌখিক দক্ষতা দিয়ে আলিগড় শহরের কথা বলার চেষ্টা করছে।
কোনওভাবে আলিগড় শহরের বিধায়ক সঞ্জীব রাজার সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন তাঁরা। সঞ্জীব রাজা পরে আবার জ্ঞানেন্দ্রর সহায়তা নেন। পুলিশের সাহায্যে হারিয়ে যাওয়া মেয়েটির পরিবারকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হন জ্ঞানেন্দ্র মিশ্র এবং তাঁকে পরিবারের সঙ্গে মিলিয়েও দেন তিনি।