This Article is From Sep 03, 2018

‘এক পলকে একটু দেখা’ মেয়েটির খোঁজে চার হাজার পোস্টার জোকার বিশ্বজিতের

বিশ্বজিৎ জানিয়েছেন, তাঁর এই আচরণে মেয়েটিকে বা তাঁর পরিবারকে কোথাও কোনওভাবে অপমান করতে চাননা তিনি।

Advertisement
অফবিট (with inputs from NDTV)

সেই মেয়েটির জন্য ইউটিউবে বানিয়ে ফেলেছেন সাত মিনিটের ভিডিও

কলকাতা :

দেওলি স্টেশনে থেমেছিল ভোরবেলার ট্রেন। কেন থেমেছিল জানা নেই, কেউ ওঠেওনি, কেউ নামেওনি। তবু ভোরের স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল ট্রেন, লেখকের সঙ্গে দেখা হয়েছিল সেই মেয়েটির, রাসকিন বন্ডের ‘দ্য নাইট ট্রেন অ্যাট দেওলি’র গল্পের সেই মেয়েটির সঙ্গে আর কখনোই দেখা হয়নি। দেখা সাধারণত হয়ও না। অথবা হতেও পারে, ‘দিল সে’ সিনেমায় রেডিও জকি শাহরুখের সঙ্গে যেমন বারেবারেই দেখা হয়ে যেত মণীষা কৈরালার। যদিও সব দেখা হওয়াই প্রেম নয়, সব সাক্ষাৎই সুখকর নয়। তবু, প্রেম এমন অন্ধবিশ্বাস যা মানুষকে ছুটিয়ে মারে। মানুষ পাথরে নাম লিখে ভাবে চিরস্থায়ী হবে ভালোবাসা, গাছের গুঁড়িতে খোদাই করে ভাবে অমলিন থেকে যাবে সাময়িক প্রেম।

তবে সিনেমার চরিত্ররা কখনও জলজ্যান্ত হয়ে ওঠে অজান্তেই। যেমন রেলপথের এই প্রেমের গল্প বাস্তব হয়ে গিয়েছে বিশ্বজিৎ পোদ্দারের জীবনে। একঝলক দেখা মেয়েটিকে তুমুল খুঁজে চলেছেন তিনি। দেওয়ালে দেওয়ালে খুঁজছেন, খুঁজছেন অলিতে গলিতে। একদিনের মাত্র দেখা, কোনও কথা হয়নি, কোনও আলাপও না। তবু, সেই প্রথম দর্শন প্রেমের যে নকশীকাঁথা বুনতে শুরু করেছে বিশ্বজিতের মনে তা ছুটিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে কলকাতার এই সরকারি কর্মচারিকে। একই ট্রেনে বিশ্বজিতের সহযাত্রী ছিলেন ওই মেয়েটি। বাবা মায়ের সঙ্গে বিশ্বজিতের ঠিক উল্টোদিকের সিটেই বসেছিলেন। সেই মেয়েটিকে খুঁজতে কোন্নগর থেকে বালি অব্দি ছয় কিলোমিটার রাস্তায় চার হাজার পোস্টার চিটিয়ে ফেলেছেন দেওয়ালে। সেই মেয়েটির জন্য ইউটিউবে বানিয়ে ফেলেছেন সাত মিনিটের ভিডিও।

29 বছর বয়সী বিশ্বজিতের কথায়, “ আমার বন্ধুরা, আমার বাড়ির লোকেরা আমাকে পাগল ভাবে আমি জানি। কিন্তু এটা না করে আমার কোনও উপায় নেই। আমি তো মন থেকে বেরই করতে পারছি না ওকে।” সল্টলেকের পরিবেশ ভবনে কাজ করেন তিনি, বাড়ি বেহালার জোকায়। সেইদিন মেয়েটিকে দেখার পর থেকে রোজ ওই সময়ে অফিস শেষ করে কোন্নগরের ট্রেন ধরেন তিনি। স্বপ্নের সেই মেয়েটির জন্য রোজ একই পোশাক পরে ট্রেনে চাপেন, যে পোশাক পরে মেয়েটিকে দেখেছিলেন তিনি। ভিড় স্টেশনে নামেন, অপেক্ষা করেন যদি ফের দেখা হয়ে যায় একদিন দেখা সেই মেয়েটির সঙ্গে। বিশ্বজিৎ জানিয়েছেন, তাঁর এই আচরণে মেয়েটিকে বা তাঁর পরিবারকে কোথাও কোনওভাবে অপমান করতে চাননা তিনি। বিশ্বজিৎ বলেন, “এটা নিছকই ও যাতে কখনও আমাকে খুঁজে পায় তার জন্যই করে চলা, হয়ত কখনও আবার দেখা হয়ে যাবে….”।

 

Advertisement
Advertisement