সাংসদদের সংসদীয় রীতি মেনে আচরণ করার পরামর্শ দেন স্পিকার।
নিউ দিল্লি: সারা দেশে গণপিটনির ঘটনা নিয়ে সংসদে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে তৃণমূল। এবার পশ্চিমবঙ্গের একটি ঘটনা তুলে ধরে তৃণমূলকে নিশান করল বিজেপি। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হল তুমুল বাদানুবাদ। পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হল যে বেশ কিছটা সময় লোকসভার কাজ বন্ধ রাখতে হয়।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার । লোকসভার জিরো আওয়ারে বিজেপি সাংসদ কীর্তি সোমাইয়া বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলে মহিলা-সহ অনেককেই গণপিটুনির শিকার হতে হচ্ছে। প্রতিবাদ করেন তৃণমূল ও বাম সাংসদরা। বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগানও দিতে থাকেন তাঁরা। এরই মধ্যে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও ইদ্রিশ আলি লোকসভার ওয়েলের দিকে এগিয়ে যান। কীর্তিও করেন সেই একই কাজ। দুপক্ষকে ওয়লের কাছে চলে আসতে দেখে হকচকিয়ে চান স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে বলে অনুমান করে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার তৃণমূল সাংসদদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিক্ষোভ চলতে থাকে। প্রশ্ন করে যেতে থাকেন সোমাইয়া। তিনি বলেন, একের পর এক ঘটনা ঘটছে অথচ পশ্চিমবঙ্গ বা কেরল সরকার কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। এমন কথা শুনে স্বভাবতই আরও বেশি করে প্রতিবাদ করতে থাকেন তৃণমূল সাংসদরা। এরই মাঝে মিনিট দশেকের জন্য সভার কাজ স্থগিত করে দেন স্পিকার।
ফের সভা শুরু হয়। বক্তব্য অসমাপ্ত থাকায় বলতে ওঠেন সোমাইয়াই। তিনি বলেন গণপিটুনি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বিবৃতি দেওয়া উচিত। অন্যদিকে সমস্ত সদস্যদের সংসদীয় রীতি মেনে আচরণ করার পরামর্শ দেন স্পিকার।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)