লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুডা (Lt General DS Hooda) জানিয়েছেন কংগ্রেসে যোগদানের কোনও ইচ্ছা নেই তাঁর
হাইলাইটস
- ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মাথা ছিলেন ডি এস হুডা
- কংগ্রেসের জাতীয় নিরাপত্তা টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্ব দেবেন তিনি
- হুডা জানিয়েছেন, কংগ্রেসে যোগ দিতে ইচ্ছুক নন তিনি
নিউ দিল্লি: সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মাথা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিএস হুডাকে (Lt General DS Hooda) এবার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের প্রধান হিসেবে নিয়োগ করল কংগ্রেস। সেনাবাহিনীর উত্তর কমান্ডের প্রাক্তন চিফ হিসাবে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সীমান্তে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের (surgical strike) নজরদারি করছিলেন হুডা। জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে গঠিত এই টাস্ক ফোর্স কংগ্রেসের জন্য লোকসভা নির্বাচনের আগে একটি ভিশন ডকুমেন্টও তৈরি করবে।
বৃহস্পতিবার দলের সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তার মধ্যে বৈঠকের পর কংগ্রেস এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুডা অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তিনি কংগ্রেসে যোগদান করেননি এবং তাঁর এই অংশগ্রহণ কেবল এই টাস্কফোর্সের জন্যই সীমাবদ্ধ।
ভারত থেকে পাকিস্তানে জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার: নীতিন গড়করি
তিনি সংবাদ সংস্থা আইএনএকে বলেন, “আমি নিজের দল বেছে নেব, যাতে পাঁচ থেকে ছয়জন লোক থাকবেন। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ হতে পারেন, যেমন সামরিক, বিদেশ নীতি বিশেষজ্ঞ এবং এমনকি পুলিশ থেকেও হতে পারে।" টাস্ক ফোর্স জাতীয় নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে এক মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই কাজে নামছে।
কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী টুইট করেছেন, “কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কর্তৃক একটি শক্তিশালী জাতি এবং শক্তিশালী জাতীয় নিরাপত্তা গঠনে এক ইতিবাচক পদক্ষেপকে স্বাগত। লেফটন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ডি এস হুডার অভিজ্ঞতা দেশকে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে উপকৃত করবে।"
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর অনুরোধে কংগ্রেস নেতাকে বহিষ্কার করলেন রাহুল গান্ধী
জেনারেল হুডা ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে নিয়ন্ত্রণ সীমান্ত জুড়ে সন্ত্রাসবাদী লঞ্চপ্যাডগুলিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরিকল্পনা এবং নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তবে এই বিষয়টিকে এত গুরুত্ব দেওয়া এবং রাজনীতিকরণের বিষয়ে খুব রোমাঞ্চিতও ছিলেন না। গত বছরের ডিসেম্বরে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমি মনে করি এটা নিয়ে এত প্রচারের কিছুই নেই। সামরিক অভিযান গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং আমাদের তা করতেই হত। এখন এটির রাজনীতিকরণ কতটুকু হওয়া উচিত, তা সঠিক বা ভুল কিনা তা রাজনীতিবিদদেরই জিজ্ঞাসা করা উচিত।”
উড়িতে সন্ত্রাসী হামলার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে সেনা কর্মকর্তার বিশেষ বাহিনীর প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন করে। উড়িতে পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের হাতে ১৯ জন সৈন্য নিহত হন।