This Article is From Oct 13, 2018

পকোড়া বেচে বছরে ৬০ লাখ! আয়করের হানা লুধিয়ানার পকোড়ার দোকানে

এনডিটিভি ইন্ডিয়া সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রথমে পকোড়াওয়ালারা তদের বার্ষিক আয় এক থেকে সওয়া এক লক্ষ টাকা ঘোষণা করে।

পকোড়া বেচে বছরে ৬০ লাখ! আয়করের হানা লুধিয়ানার পকোড়ার দোকানে

লুধিয়ানার সেই বিখ্যাত পকোড়ার দোকান

হাইলাইটস

  • প্রথমে জানা গেছিল বার্ষিক এক দেড় লক্ষ টাকা আয়
  • আসলে বার্ষিক 60 লক্ষ টাকা মুনাফা হয় এঁদের
  • লুধিয়ানাতে বিখ্যাত সর্দার পঞ্জা সিং এর পকোড়ার দোকান
লুধিয়ানা:

পকোড়া বিক্রি করে দিনে সর্বোচ্চ কত রোজগার হতে পারে আপনার? বা একমাসে কতখানি উপার্জন হতে পারে পকোড়া বেচে কখনও ভেবেছেন? পাঞ্জাবের লুধিয়ানার একটি পকোড়ার দোকানে আয়কর দফতর হানা দেওয়ার পর জানা গেছে কেবল পকোড়া বিক্রি করে বছরে 60 লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন ওই দোকানের মালিক!

পাঞ্জাবের লুধিয়ানা শহরেরর সর্দার পাঞ্জা সিং পকোড়াওয়ালার এই ছোট পকোরার দোকানটিই এখন পাঞ্জাবের অন্যতম আলোচনার বিষয়, শুধু পাঞ্জাবের না সারা দেশের মানুষই পকোড়াওয়ালার এত উপার্জনে স্তম্ভিত। এই দোকানটিতে পা রাখার জায়গা নেই এবং এখানে মানুষ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই পকোড়া খান। গত সপ্তহে আয়কর দফতর এখানে হানা দেওয়ার পরেই দোকানদাররা জানান 60 লক্ষ টাকা বছরে হেসে খেলে আয় হয় তাঁদের।

 
t3g97p8k


এনডিটিভি ইন্ডিয়া সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রথমে পকোড়াওয়ালারা তদের বার্ষিক আয় এক থেকে সওয়া এক লক্ষ টাকা ঘোষণা করে। কিন্তু আয়কর বিভাগের তাতে সন্দেহ হওয়ায় এক মাস ধরে দোকানে হানা দেওয়ার পর দোকানের মালিক জানান, সব কর্মচারীদের মাইনে দেওয়ার পরেও 60 লাখ টাকা মুনাফা অর্জন করেন তিনি। আয়কর বিভাগ তাঁদের এই চুরি ধরে ফেলার ফলে এখন কমপক্ষে 45 লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে এই পকোড়াওয়ালাকে।

 
800fapq

 

66 বছরের পুরনো এই দোকানটি সারা লুধিয়ানাতে বিখ্যাত। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এখানে 400 টাকা কেজি দরের পনীর পকোড়া এবং দহিভল্লার স্বাদ বিখ্যাত হয়ে আছে মানুষের কাছে। দহি ভল্লা খেতে আসা গগন রানা বলেন, 'আমি 1984 সাল থেকে নিয়মিত এখানে আসছি এবং দুটো জিনিস আছে  যেটা এঁরা চমত্কার বানায়...দহি ভল্লা এবং পনীর পকোড়া স্পেশাল।' রাজস্থান থেকে লুধিয়ানা এসেছেন লক্ষ্মী নারাং। তিনি জানান, বিগত ২২ বছর থেকে যখনই এই দিকে এসেছেন, তখনই এখানে খেতে ভোলেন না তিনি। সর্দার অবতার সিং-এর বয়স এখন 82 বছর। 50 বছর ধরে এখানে পকোড়া খান তিনি। তাঁর কথায়, পুরো শহরে এই রকম পকোড়া কেউ বানাতে পারে না।

 

 
7s7sq12k

 

দোকানের বিক্রি এতই বেশি যে এখানে গ্যাসের পরিবর্তিত ডিজেল ব্যবহার করা হয়। দোকানে আয়কর হানার বিষয়ে স্থানীয় মানুষ নিজেদের মতামতও জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন এটা সাফল্যের নিদর্শন, কেউ কেউ বলছেন, যদিও ট্যাক্স দেওয়া হয়েই থাকে তাহলে কেন হানা দেবে আয়কর। আয়কর দফতরের হানা দেওয়ার পরে এই দোকানের পকোড়া আগের থেকে আরও বেশি বিক্রি হচ্ছে এখন।


VIDEO : পকোড়া বিক্রি করে 60 লক্ষ টাকা রোজগার 

 

.