গণপিটুনি সহ কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করলেন Mohan Bhagwat
নাগপুর: গণপিটুনির (Lynching) ধারণাটি এসেছে "পশ্চিমের দেশ" থেকে, এমন মন্তব্য করতে শোনা গেল আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতকে। তবে এই ধরণের ঘটনা অভিপ্রেত নয়, কেননা এতে দেশের নাম খারাপ হয়, বললেন তিনি (Mohan Bhagwat)। নাগপুরে দশেরার এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় ভাগবত বলেন "... এমন নয় যে কেবল একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষকেই আক্রমণের লক্ষ্য করা হচ্ছে । বিপরীতটিও ঘটে"। আরএসএস প্রধান একথাও বলেন যে, সমাজকে "সংবিধানের সীমার মধ্যে থেকে" কাজ করতে হবে, "মতামতের পার্থক্য যাই হোক না কেন, কোনও উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আগে" তা বিবেচনা করা উচিত। "আমরা প্রায়ই শুনি যে এক সম্প্রদায়ের লোকেরা অন্য সম্প্রদায়ের লোককে মারধর করেছে। তবে এটা এমন নয় যে কেবল একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষকেই টার্গেট করা হচ্ছে। বিপরীতটি ঘটেও। "আত্মকেন্দ্রিক দলগুলি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মাধ্যমে আগুনে ঘৃতাহুতি দেয়", বলেন মোহন ভাগবৎ (RSS Chief)।
আরএসএস প্রধান বলেন, "সামাজিক হিংসার কয়েকটি ঘটনাকে 'গণপিটুনি' হিসাবে চিহ্নিত করা আসলে আমাদের দেশ, হিন্দু সমাজকে বদনাম করা এবং কিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয় তৈরি করার চেষ্টা। লিচিং বা গণপিটুনি আসলে ভারতের নয়, ভিনগ্রহের এবং এর উল্লেখ অন্য কোথাও রয়েছে" ।
জয় শ্রী রাম বিতর্কে মোদিকে চিঠি লিখলেন অপর্ণা সেন, রামচন্দ্র গুহরা
তিনি দাবি করেন, "লিচিং নিজেই একটি পশ্চিমী শব্দ। এটি ভারতীয় শব্দ নয়। এর উৎসটি পৃথক ধর্মীয় পাঠের একটি গল্প থেকে উৎপন্ন হয়েছে। ভারতীয়দের উপর এ জাতীয় বিষয় আরোপ করবেন না"।
আরএসএস প্রধানের এই মন্তব্য বিহারে গত সপ্তাহে দেশের ৪৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের পরে এসেছে। ওই বিশিষ্টরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেশের ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষের ঘটনার কথা উল্লেখ করে একটি খোলা চিঠি লিখেছিলেন।
জুলাইয়ে লেখা ওই চিঠিটি জুনে ঝাড়খণ্ডে তাবরেজ আনসারির (২৪) মৃত্যুর নেপথ্যে গণপিটুনির সম্ভাবনার কথা উঠে আসার পরে নরেন্দ্র মোদির কাছে পাঠান দেশের বুদ্ধিজীবীরা।
অপর্ণা সেন-দের চিঠির প্রত্যুত্তরে মোদিকে সমর্থন করে পাল্টা চিঠি কঙ্গনা রানাউত-সহ ৬১ জনের
অভিনেত্রী অপর্ণা সেন, ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহর স্বাক্ষর করা ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “প্রিয় প্রধানমন্ত্রী...মুসলিম, দলিতসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পিটিয়ে মারার ঘটনা শীঘ্রই বন্ধ হওয়া দরকার। আমরা ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য দেখে অবাক হয়েছি, সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৬-এ নৃশংস এই ধরণের ঘটনার সংখ্যা ৮৪০-এর কম নয়। দোষীদের শাস্তি দেওয়ার হারও নির্দিষ্টহারে কম”।
এনডিটিভির সংগৃহীত তথ্য অনুসারে, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১১১ টি এমন ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে ৪৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। শুধুমাত্র ২০১৯ সালেই গণপিটুনির কমপক্ষে ৯টি ঘটনা ঘটেছে।
পাশাপাশি আরএসএসের প্রধান জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদাকে রদ করে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং এও অভিযোগ করেন যে "স্বার্থান্বেষী শক্তিই ভারতকে শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত হতে দিতে চায় না"।
দেখুন দেড়শো বছরের পুরনো পুজোর ভিডিও: