প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছে ছাত্রীটি
ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) দিনদোরি জেলায় (Dindori) স্কুলের হস্টেলে (Hostel) মিলল ১১ বছরের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। তাঁর সঙ্গে থাকা সুইসাইড নোট (Suicide Note) থেকে জানা গেছে যে ছাত্রীটি তাঁর স্কুল নিয়ে খুব একটা খুশি ছিল না। “আমি ভবিষ্যতে একজন শিক্ষিকা হতে চেয়েছিলাম, আমি আমার অভিভাবক, আমার কাকা-কাকিমা এবং ভাই-বোনদের খুব ভালবাসি। আমি এই জায়গাটি একেবারেই পছন্দ করতে পারছি না এবং সেইজন্যেই আমার এখান থেকে বদলির শংসাপত্র চাই। এখানে আসার পর থেকেই মনে হচ্ছে আমি যেন নরকে এসেছি”, ওই ছাত্রীর সুইসাইড নোটে লেখা ছিল এই কথাগুলোই। সোমবার ভোর ৫ টা নাগাদ মেয়েটিকে হস্টেলের শৌচাগারের (Hostel Toilet) কাছের একটি সিঁড়ির রেলিং থেকে নিজের ওড়না গলায় জড়ানো অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায়। পুলিশ ও স্কুল কর্তৃপক্ষ একে আত্মহত্যা (Suicide) বলে প্রাথমিকভাবে মনে করলেও ছাত্রীটির পরিবার সেই তত্ত্বে সায় দিচ্ছেন না। তাঁদের মতে মেয়েটিকে খুন (Murder) করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চলছে গুলি, মানুষ লুটিয়ে পড়ছে মাটিতে, ভিডিওতে দেখা গেল দৃশ্য
“হস্টেলে থাকা জনা কুড়ি মেয়ের কেউই তাঁকে আত্মহত্যা করতে দেখল না এটা কেমন করে সম্ভব? তাছাড়াও, সুইসাইড নোটটির লেখা আমার মেয়ের হাতের লেখা নয়। সে কখনোই আত্মহত্যা করতে পারে না; কেউ তাঁকে খুন করেছে। আমরা এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের জন্যে পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছি”, বলেন মেয়েটির বাবা।
পাশাপাশি তাঁর মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ কেন তাঁদের কিছু জানাল না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। “পরিবর্তে সকাল ৬ টা নাগাদ ওই হস্টেলে থাকা অন্য একটি মেয়ের বাবা ফোন করে আমায় খবরটি জানান”, অভিযোগ মৃত ছাত্রীর বাবার।
মানবিকতার নজির! জীবন বিপন্ন করে ডুবন্তকে বাঁচালেন উত্তরাখণ্ডের পুলিশ
জানা গেছে, মেয়েটির দেহ প্রথমে দেখতে পায় ওই হস্টেলেরই অন্য ছাত্রীরা। তাঁরা তৎক্ষণাৎ ওই ঘটনার কথা স্কুল আধিকারিকদের জানায়, তাঁরাই পরে শাহপুর পুলিশ স্টেশনে খবর দেন।
“প্রাথমিকভাবে, এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। সুইসাইড নোট দেখে মনে হচ্ছে মেয়েটি বাড়ি ফিরে যেতে চাইছিল। সুইসাইড নোটের শেষে লেখা আছে এই জায়গাটিতে এসে মেয়েটির নরক মনে হয়েছিল। আমরা সিআরপিসির ১৭৪ ধারা অনুযায়ী ঘটনার তদন্ত করছি। পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও মৃত মেয়েটির পরিবার এবং তাঁর সহপাঠীদের বয়ানও রেকর্ড করছি” , জানিয়েছেন দিনদোরি সুপারিনটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ এমএল সোলাঙ্কি।