এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
কমল নাথ সরকারের পক্ষে রয়েছে ১২০জন বিধায়ক, সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় প্রয়োজন ১১৬জন বিধায়ক, ফলে মাত্র চারটি আসন বেশি রয়েছে তাদের। তারমধ্যে ১১৪ জন কংগ্রেস, দুজন বিএসপি, একজন সমাজবাদি পার্টি এবং চারজন নির্দল বিধায়ক রয়েছেন। বিজেপির রয়েছেন ১০৭ জন বিধায়ক, দুটি আসন শূন্য। যদি ১৭ জন বেরিয়ে যান, কর্নাটকের পর, এই নিয়ে দ্বিতীয় রাজ্য হারাবে কংগ্রেস। বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কদের জায়গা হয়ে উঠেছে বেঙ্গালুরু, এবং অন্যান্যরাও ১৫ মাসের কমল নাথ সরকার থেকে বেরিয়ে যেতে প্রস্তুত।
গত মঙ্গলবার, দিল্লি সংলগ্ন একটি পাঁচতারা হোটেলে আশ্রয় নেন ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক, তখনই মধ্যপ্রদেশে বিজেপির দ্বারা কংগ্রেস সরকার ফেলে দেওয়ার ভুত তাড়া করতে থাকে, সেখানে কংগ্রেস সরকারের অল্পের জন্যই সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
মধ্যরাতের পর, নাটকীয়ভাবে ব্যাগ নিয়ে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতারা বের করে নিয়ে যান একজন নির্দল বিধায়ককে। পরে, আরও অনেকেই ফিরে যান, কেউ কেউ জানান, মন্ত্রী না করায় তাঁর অখুশি।
রবিবার, দেখা যায়, সবাই, তবে দুজন “নিখোঁজ' বিধায়ক দায়ী, এবং কংগ্রেসে সঙ্কট তৈরি হয়। সোমবার আবারও সঙ্কটের আবহ তৈরি হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বৈঠকের খবরে।
গত দুবছরে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার রাজনৈতিক জীবন ভাল যায়নি, তাঁর বাবা মাধবরাও সিন্ধিয়া ছিলেন অন্যতম কংগ্রেস নেতা, এবং ঠাকুমা বিজয়রাজে ছিলেন বিজেপি নেতা। তাঁর দুই পিসিও বিজেপিতে রয়েছেন।
২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে ১৫ বছর পর মধ্যপ্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় কংগ্রেস, সেই ফলাফলে অবদান ছিল জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে সমর্থন করেন মাত্র ২৩ জন বিধায়ক। ফলে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়নি। কমল নাথকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি রাখা হয়।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ক্ষোভ কমিয়ে লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধির সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের দলের সাধারণ সম্পাদক করেন, তবে সে রাজ্যে দলের ভরাডুবি হয়।
নিজের কেন্দ্র মধ্যপ্রদেশের গুনা কেন্দ্রে কম প্রচার করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, ২০০২ থেকে এই প্রথমবার নিজের কেন্দ্রে পরাজিত হন তিনি।
গত কয়েকমাসে, মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে তৈরি হয়েছে তিনগোষ্ঠী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কমল নাথ এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং-এর বিভাজনে। এদিকে, লোকসভা নির্বাচনে দলের হারের পর রাহুল গান্ধি পদত্যাগ করায় দলের সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে তৈরি হয় সঙ্কট।
নভেম্বরে নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের বায়োতে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় মুছে দেন তিনি, নিজেকে সমাজসেবক এবং ক্রিকেট অনুরাগী হিসেবে তুলে ধরেন।