Read in English
This Article is From Apr 08, 2020

করোনা রোগীদের সারাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা, বাড়ছে সংকট

ভোপালে সংক্রমিত ৮৫ জনের মধ্যে ৪০ জনই স্বাস্থ্যকর্মী, এদিকে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন যাঁরা সংক্রমণ লুকিয়ে রাখছেন তাঁরা ক্ষমার অযোগ্য

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Madhya Pradesh Coronavirus Updates: ভোপালে ৮৫ জন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত

Highlights

  • দেশ জুড়ে ক্রমশই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
  • মধ্যপ্রদেশের ভোপালে করোনা আক্রান্ত ৮৫ জন
  • এর মধ্যে ৪০ জনই আবার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক এবং কর্মী
ভোপাল:

করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) বিরুদ্ধে গোটা দেশেই যেন এক অসম যুদ্ধ চলছে। লকডাউনের মধ্যেও লাগাতার বেড়ে চলেছে সংক্রমণ (Coronavirus India), কিছুতেই যেন বাগে আনা যাচ্ছে না এই ভাইরাসকে। সবচেয়ে দুঃশ্চিন্তার কথা এই যে, করোনা আক্রান্ত (COVID-19) রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী তথা চিকিৎসকরাও একের পর এক ওই মারণ ভাইরাসের কবলে পড়ছেন। মধ্যপ্রদেশের ভোপালেই (Bhopal) যেমন করোনা আক্রান্ত মোট ৮৫ জনের মধ্যে ৪০ জনই স্বাস্থ্যপরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। আক্রান্তদের মধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের অন্তর্ভুক্ত, দু'জন আইএএস আধিকারিক- মুখ্যসচিব স্বাস্থ্য, পল্লবী জৈন গোবিল, এবং স্বাস্থ্য কর্পোরেশনের নির্দেশক জে বিজয় কুমারও রয়েছেন। এছাড়াও ওই শহরে করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্য বিভাগেরই অতিরিক্ত নির্দেশক ডঃ বীণা সিনহাও। ভোপাল সম্ভবত দেশের প্রথম শহর যেখানে যে স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকরা করোনার সঙ্গে লড়াই করে অন্যদের বাঁচাবেন তাঁরা নিজেরাই ওই মারাত্মক ভাইরাসের বাহক বা ক্যারিয়ারে পরিণত হয়েছেন।

২৪ ঘন্টায় ভারতে করোনার বলি ১৩, নতুন করে আক্রান্ত ৫০৮ জন

এদিকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন যাঁরা সংক্রমণ লুকিয়ে রাখছেন তাঁরা ক্ষমার অযোগ্য। এমনকী যাঁরা নিজেদের শরীরে করোনার লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও লুকিয়ে রেখে আরও পাঁচজনের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও করা যেতে পারে। এদিকে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও যেভাবে রাজ্যের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা আক্রান্তদের সেবা করছেন তার জন্যে কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়, বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যসচিবেরও তারিফ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "আপনার মতো সরকারি আধিকারিকদের সহায়তায় আমরা খুব শিগগিরই এই সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাব"। 

তবে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে মোটেই একমত নয় রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। যেভাবে সে রাজ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে বিচলিত কমিশনের আধিকারিকরা। এদিকে কংগ্রেস সাংসদ বিবেক তানখার প্রশ্ন তুলেছেন, করোনায় আক্রান্ত আইএএস আধিকারিক এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা কেন হাসপাতালে ভর্তি হতে দেরী করছেন? এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে জবাব চেয়েছেন তিনি।

Advertisement

লকডাউনের সময় জটলা পাকিয়ে মোবাইল গেম খেলার সময় ভেঙে পড়ল পাঁচিল, মৃত ১

তানখা টুইট করেন, "#COVID2019india নির্দেশিকা ধনী বা শক্তিমান এবং দরিদ্র বা দুর্বল সকলের জন্যেই মেনে চলা বাধ্যতামূলক"। মধ্যপ্রদেশের মানবাধিকার কমিশন মুখ্যসচিবকে এ নিয়ে জবাব তলবও করেছে।

Advertisement

Advertisement