Read in English
This Article is From Mar 11, 2020

ক্ষমতা দখলে মধ্যপ্রদেশ বিজেপির যুযুধান দুই গোষ্ঠীই সক্রিয়

একক ক্ষমতায় আস্থাভোট জেতা অসম্ভব নয় বিজেপির পক্ষে। ফলে ক্ষমতার গন্ধ পেয়েই গেরুয়া শিবিরে ফের সক্রিয় যুযুধান দুই শিবির শিবরাজ সিং চৌহান এবং বিজেপি বিধায়ক নরোত্তম মিশ্র শিবির।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়তে সমর্থ হলে বিজেপি ফের শিবরাজ সিং চৌহানকেই মুখ্যমন্ত্রী করতে পারে। (ফাইল)

Highlights

  • কমল নাথ সরকারের সংখ্যালঘু প্রমাণ করতে মরিয়া বিজেপি
  • দলীয় তরফে এই কৌশলের নাম দেওয়া হয়েছে রং পঞ্চমী
  • ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
ভোপাল/নয়া দিল্লি :

১৫ মাস পর মধ্যপ্রদেশে ফের সরকার গড়তে উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং তাঁর ১৮ অনুগামী বিধায়ক সে রাজ্যের সরকারের প্রতি রীতিমতো জেহাদ ঘোষণা করেছেন। বুধবার বিকেলে সরকারি ভাবে গেরুয়া শিবিরের যোগ দিতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য (Jyotiraditya Scindia)। এই পরিস্থিতিতে ওই ১৮ বিধায়কের ইস্তফার জেরে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২১০। সরকার গড়তে প্রয়োজন ১০৬ জন বিধায়কের সমর্থন। কংগ্রেসের আছে ৯৮ জন। অন্যদিকে বিজেপির সদস্যসংখ্যা ১০৭। একক ক্ষমতায় আস্থাভোট জেতা অসম্ভব নয় বিজেপির পক্ষে। ফলে ক্ষমতার গন্ধ পেয়েই গেরুয়া শিবিরে ফের সক্রিয় যুযুধান দুই শিবির শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) এবং বিজেপি বিধায়ক নরোত্তম মিশ্র শিবির (Rift Wide among BJP)। এদিন এমনটাই দাবি করেছে বিজেপির একটা সূত্র। এভাবেই সে দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব উসকে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার। মঙ্গলবার এই বিষয়ে দফায় দফায় বৈঠক হলেও, পিছু হটেনি কোনওপক্ষই। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জাতীয় রাজনীতির 'মামাজি' শিবরাজ সিং চৌহানকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে।

"ভয় পাবেন না, ভগবানের আর্শীবাদ রয়েছে", করোনা ভাইরাস নিয়ে বললেন দিলীপ ঘোষ

জানা গিয়েছে, বিজেপির ওই দুই নেতাই মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ সরকারকে সংখ্যালঘু প্রতিপন্ন করতে নাওয়া-খাওয়া ভুলেছিল। ফলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দাবিদার হতে চাইছে এই দুই নেতাই। তবে সূত্রের তরফে এমন দাবি করা হলেও, গৃহদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ অস্বীকার করেছে শিবরাজ সিং চৌহান এবং নরোত্তম মিশ্র। এমনকি, গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত কমল নাথ সরকারকে সংখ্যালঘু প্রতিপন্ন করতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি বিজেপি। এমন দাবিও করেছে ওই দুই নেতা। অভ্যন্তরীণ কলহে সঙ্কটে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার, এই দাবি বরাবর করা হচ্ছে মধ্যপ্রদেশ বিজেপির তরফে। তাও গেরুয়া শিবিরের দ্বন্দ্ব উসকে দিয়ে সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং বলেছেন, আমি কখনই বলিনি শিবরাজ সিং আর নরোত্তম মিশ্রার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে চাপানউতোর  চলছে। তবে বিজেপি মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়লে একজন মুখ্যমন্ত্রী আর একজন উপ-মুখ্যমন্ত্রী অবশ্যই হবেন।

এদিকে, ২১ জন বিধায়ক সহ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ত্যাগে সঙ্কটের মুখে মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ সরকার। একটি সূত্র NDTV-কে জানিয়েছিল যে বুধবারই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন ওই দুঁদে রাজনীতিক। সম্ভবত তাঁকে বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভা মনোনীত প্রার্থী করা হবে। এমনকী একথাও শোনা যাচ্ছে যে, মোদি মন্ত্রিসভাতেও স্থান পেতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এমনিতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্যে প্রয়োজনীয় বিধায়ক সংখ্যা থেকে মাত্র ৪ জন বিধায়ক বেশি নিয়ে মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। এই সময় তাই বিধায়ক সংখ্যা একটা বড় ফ্যাক্টর দুই দলের কাছেই।

Viral: ‘‘করোনা ভাগ যা'': করোনার হাত থেকে রেহাই পেতে ভজন গাইলেন মহিলারা

সেই জন্যেই বিজেপি এবং কংগ্রেস দলীয় বিধায়কদের আগলে রাখার জন্যে ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের বাইরে নিয়ে গেছে বলে খবর। জানা গেছে, বিজেপি তাঁদের বিধায়কদের গুরগাঁওয়ের একটি পাঁচতারা রিসর্টে এনে রেখেছে, অন্যদিকে কংগ্রেস তাঁদের বিধায়কদের নিয়ে যাচ্ছে রাজস্থানের জয়পুরে। 

Advertisement
Advertisement